নিজস্ব সংবাদদাতা:
প্রেমের ফাঁদে ফেলে বরিশালের কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে নারায়ণগঞ্জের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। রোববার (১৩ ডিসেম্বর) আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দিয়েছেন বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু আজাদ শামীম। দন্প্রাডপ্ত সায়েম আলম মিমু নারায়ণগঞ্জের সেলিম আলমের ছেলে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফয়জুল হক জানান, আসামি সায়েম আলমের সঙ্গে ফেইসবুকে পরিচয়ের এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বরিশাল সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর। পরিবারের সঙ্গে বরিশাল নগরীর মুসলিম গোরস্থান রোড এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ওই ছাত্রী। ২০১৬ সালের ১০ অগাস্ট নারায়ণগঞ্জ থেকে বরিশাল আসেন সায়েম। কোচিং সেন্টার ফকিরবাড়ি রোডে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে সায়েমের সঙ্গে দেখা করতে যান ওই ছাত্রী। পরে তারা দুজন নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। ওই কক্ষে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালিয়ে যান সায়েম। পরে হোটেল কক্ষে মেয়েটি ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে হোটেলে গিয়ে মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন তার বাবা। এই ঘটনায় সায়েম আলম মিমু, ওই হোটেলের মালিক আব্দুর রব মিয়া ও ম্যানেজার মজিবর রহমানকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন মেয়েটির বাবা। ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ সায়েম ও ম্যানেজার মজিবরকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।ফয়জুল হক জানান, সায়েমকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড; আত্মহত্যায় প্ররোচণার দায়ে ১০ বছরের কারাদন্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ড এবং স্বর্ণের চেইন চুরির দায়ে ৫ বছরের কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় হোটেল ম্যানেজার মজিবর রহমানকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে ফয়জুল হক জানান।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।