সিদ্ধিরগঞ্জ সংবাদদাতা:
সিদ্ধিরগঞ্জে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে একটিসিন্ডিকেট বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অবৈধ সংযোগের ফলে হাউজিং বসবাসকারী প্রায় ১৫ হাজার মানুষ হুমকির মধ্যে রয়েছে। এ হাউজি য়ে যেভাবে অধিক পরিমাণ লাইন সংযোগ দেওয়া হয়েছে তাতে যেকোনো সময় একটি বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সামান্য ঘটনা থেকে বড় আকারের অগ্নিকান্ডের ঘটনা যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে মত দিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণেই যে কোন সময় অগ্নিকান্ডের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। ওই সময় আগুনের শিখা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে। সা¤প্রতিক এক অনুসন্ধানে এতথ্য ওঠে এসেছে।অনুসন্ধানে জানা যায়, নাসিক ৪নং সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় অবৈধ গ্যাস চোর সংযোগকারী সিন্ডিকেট রয়েছে। সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে দিচ্ছে, তপন সেন্টু, মহরচাঁন, মোস্তাফা, শাহাবুদ্দিন, আলী হোসেন ওরফে মুরগী আলী। তাদের সাথে গভীর সখ্যতা রয়েছে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কতিপয় অসাধু কর্মচারী। যাদের মাধ্যমে অবৈধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা এই অবৈধ সংযোগ থেকে প্রতি মাসে দুই থেকে তিন কোটি টাকার মতো অর্থ আয় করে। এ অবৈধ আয় চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকা দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণেই যে নো সময় অগ্নিকান্ডের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। ওই সময় আগুনের শিখা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে। দেখে নেওয়া যাক গ্যাস সংযোগ এবং বসবাসকারী লোকের সংখ্যা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক: এই হাউজিং প্রায় ১৫ হাজার লোক বসবাস করে। এখানে উচু উচু বাড়ি হয়েছে প্রায় ২ শতাধিক। প্রায় প্রতিটা বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। সে অনুযায় প্রায় ৫ হাজারের মতো অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। গ্যাসের লাইন দেওয়া হয়েছে জিআই পাইপের মাধ্যমে। যেগুলোতে সহজেই আগুন ধরে যায়।স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, অবৈধ গ্যাস লাইনের কারণেই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আর এ কাজে তিতাস গ্যাস কোম্পানির কতিপয় অসাধু কর্মচারীও জড়িত রয়েছেন। তিতাস গ্যাস কোম্পানির একটি সূত্র বলছে, তারা ইতিমধ্যে হাউজিং এলাকায় অবৈধ সংযোগ অপসারণে কাজ করছে। যা চলমান থাকবে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।