বন্দর সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চাঁদা না পেয়ে ড্রেজার ব্যবসায়ীসহ পরিবারের তিনজনকে মারধর এবং প্রাইভেটকার ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের প্রেমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন: ড্রেজার ব্যবসায়ী হাজী সাহাবুদ্দিন (৫৮) তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৪৫) ও ছেলে কাজল (২৫)। মুছাপুর ইউনিয়নের দুই মেম্বার ও তাদের সহযোগীরা হামলার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ ড্রেজার ব্যবসায়ীর। তবে অভিযুক্তরা অভিযোগ অস্বীকার করে তার বিরুদ্ধে অন্যের দেয়াল ভেঙে ড্রেজারের পাইপ সংযোগ দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন। এদিকে ড্রেজার ব্যবসায়ী হাজী সাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে মুছাপুর ইউপির দুই সদস্য মনোয়ার হোসেম মনা, সোহেল রানা এবং ইকবাল, হান্নান, শফিকুল, আলাল ও মাছুমকে আসামি করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।এ ব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দীন ভুইয়া বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে স্থানীয়ভাবে দ্ব›দ্ব রয়েছে। দ্ব›েদ্বর জের ধরে বৃহস্পতিবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি চাঁদাবাজি সংক্রান্ত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ সোহেল রানা বলেন, ‘ড্রেজার ব্যবসায়ীর অভিযোগ মিথ্যা। তিনি স্থানীয় একজনের বাড়ির দেয়াল ভেঙে তার ড্রেজারের পাইপ টেনেছেন। এ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে মনোয়ার মেম্বারকে ঘুষি দিয়ে নাক ফাটিয়ে দেন। পরে আশাপাশের লোকজন জমায়েত হয়ে মেম্বারকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে পৌছে পুলিশে খবর দেই। তিনি আরও বলেন, ‘মারধর কিংবা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। নিজের দোষ ঢাকতে এমন ব্যবস্থা। সামনে নির্বাচন তাই চেয়ারম্যানের নির্দেশে এ বিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করা হচ্ছে না।এ বিষয়ে জানতে ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ মনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনের নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।