নিজস্ব সংবাদদাতা:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুক্রবার বিকেল ৩টায় প্রথমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল(ভিপি বাদল), নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বিরু, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবু চন্দনশীল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া সাজনুসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল বলেন, ১৯৭১সালে বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছিল এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। টুঙ্গিপাড়ার অজপাড়াগায়ে যে শিশুটা জন্মেছিল, যে শিশু বলেছি আমাকে হত্যা করো দুঃখ থাকবে না কিন্তু আমার লাশ বাংলার মাটিতে পাঠিয়ে দিও। এই বাংলার মাটিতে তাকে আইয়ুব খানের ষড়যন্ত্র মামলা দেয়া হয়েছিল, সেই পিতার নাম জাতির পিতা, সেই পিতার নাম শেখ মুজিবুর রহমান, সেই পিতাই স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫সালে কালরাত্রি নিশংসভাবে আমার পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল। ওই খালেদা জিয়ার দালাল, জিয়াউর রহমানের দালালদের বাংলার মাটিতে বিচার চাই। আমরা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই। এতদিন কিন্তু ভাঙ্গেন নাই, ভাঙ্গার সাহস পান নাই আজকে স্বাধীনতার ৪৯বছরে ভাস্কর্য ভাঙ্গতে চান। প্রধানমন্ত্রীকে বার বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে, যেমনিভাবে আমাদের প্রিয় নেতা একেএম শামসুজ্জোহাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। আমি যখন হাসপাতালে শামীম ওসমানের পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম তখন বললো, আপনারা প্রধানমন্ত্রীকে বাঁচান। তার প্রমাণ ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে কোন দ্বিধাদ্ব›দ্ব থাকতে পারে না। যারা আওয়ামী লীগে দ্বিধাদ্ব›দ্ব করে তারা খন্দকার মোঃ শতাকের প্রেতাত্মা, তারা অনুপ্রবেশকারী। আগামীতে তারা যাতে ঘরে স্থান না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনুষ্ঠানে আগত নেতৃবৃন্দরাও তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করে নেতৃবৃন্দ। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু চন্দনশীল বলেন আজ ৪৯বছর উদযাপন করলাম বিজয়ের, আগামীতে হবে সুবর্ণজয়ন্তী ৫০বছর। সেই সাথে সাথে মুজিব শতবর্ষ চলছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল এই মুজিব বর্ষে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ব্যাপকভাবে আয়োজন করার। আজকে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আমি মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যকে বক্তব্য রাখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, এটাই তো আমাদের প্রত্যাশা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা এক মঞ্চে থাকবে, সেখানে কোন বিবেধ নেই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের স্বার্থে, আওয়ামী লীগের স্বার্থে আমরা এক মঞ্চে থাকবো। কিন্তু দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি, ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে ধর্মীয় রেশারেশি আজ বিজয়ের অনুষ্ঠানে বলতে পারছি না। আমি অনুরোধ জানাবো জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে, আজকে আমাকে মহানগরের আওয়ামী লীগকে ডেকেছেন, এমন সকলকে একত্রে ডাকবেন। আমরা এক মঞ্চে একসাথে বসে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করবো। কিন্তু একই অনুষ্ঠান দুই-তিনভাগে আমরা করতে চাই না
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।