ফতুল্লা সংবাদদাতা:
পরিবেশ অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ এই আয়োজনে ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ত করার জন্য। আমরা নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি না। আমরা যদি এই জায়গায় কাজ করি যে, স্ব-স্ব দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবো তাহলে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় খাল, জলাশয় ভরাট করে যেভাবে পরিবেশকে বিকৃত করা হচ্ছে এটা দেখার আমার মনে হয় কেউ নেই। আমি সদর ইউএনওকে কয়েকবার নিয়ে গিয়েছিলাম সেখানে এগুলো দেখাতে।২২ ডিসেম্বর মুজিববর্ষে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন, বিসিক শিল্প নগরী মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক(ডিসি) মো.জসিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কিভাবে আশ-পাশের লোকজন ভরাট করে পানির প্রবাহ নষ্ট করছে? কিছুদিন আগে আমি শেয়ার করেছিলাম, বিসিকে ছোট বড় ৬৩০টি শিল্প-প্রতিষ্ঠান আছে, সেখানে ৩লাখ শ্রমিক কাজ করে। এই শ্রমিকদের জন্য মাসদাইর এলাকা থেকে প্রবেশের যে রাস্তা সেটা সারা বছরই পানির নিচে থাকে। এত দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি সেখানে যাওয়া কষ্টকর, সেই জায়গা দিয়েই শ্রমিকদের যাতায়াত করতে হয়। ২০০২সালে ওয়াল্ড ব্যাংক থেকে একটি টিম আসলো, সেসময় তাদের নিয়ে আমি বিভিন্ন এলাকা সার্ভে করে দেখাই। তাদের আমি কাশিপুর থেকে সবকিছু দেখাই। তাদের আমি বলেছি, আগামীতে আমাদের শিল্প কারখানাগুলো আরও বাড়বে, ওইসময় নিট শিল্পর প্রচার হচ্ছিল, তোমরা ক্লাস্টার ওয়াইজ সেন্ট্রাল ইটিপি করো। তখন তারা রিপোর্ট দিলো বাংলাদেশে গার্মেন্টস সেক্টর থাকতে পারবে না। আমি চ্যালেঞ্জ করে নিয়েছিলাম তখন বর্তমানে আমাদের গার্মেন্টস সেক্টর অনেক বেøাবিং হয়েছে। বিসিক শিল্প নগরী মালিক সমিতির সভাপতি আরও বলেন, গার্মেন্টেস সেক্টরে আমরা ইটিপি ব্যবহারপূর্বক পানি দূষণমুক্ত করে খালে দিচ্ছি। কিন্তু বাকি ৯০ পার্সেন্ট লোক তারা ইটিপি ব্যবহার করছে না। বরং আমরা যে খরচ করে ইটিপি ব্যবহার করছি পরিবেশ রক্ষায় কোন লাভ হলো না। এই কারণে বাকি যারা ইটিপি ব্যবহার করে না তাদের কি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিবে? সেটা করা যাবে না কারণ এদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হলে শিল্প লাগবে। সেন্ট্রাল ইটিপি ব্যবহার করে সকলকে এক জায়গায় আনলে আমরা সফলতা পাবো। সেন্ট্রোল ইটিপি পরিবেশ অধিদপ্তর বা সরকারিভাবে করতে পারলে আরও ভালো হবে। পরিবেশ রক্ষায় আমরা চেষ্টা করছি। বহুবার বলেছি আমরা ইটিপি পরিচালনার ক্যামিক্যাল আমদানি তা শুল্কমুক্ত করা হোক, কিন্তু তা হয় না।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।