নিজস্ব সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুইগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত মজিবুর রহমান (৫৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ দিন পর মারা গেছে।বুধবার (২৩ ডিসেস্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মজিবুর রহমান মারা যায়। নিহত মজিবুর রহমান ফতুল্লার বক্তাবলীর চরবয়রাগাদী এলাকার মৃত তমিজউদ্দিনের ছেলে।জানাযায়, গত ১৬ ডিসেম্বর সকালে ফতুল্লার বক্তাবলীর চরবয়রাগাদী এলাকার মজিবুরের ছেলে সবুজ মটর সাইকেল যোগে নারায়ণগঞ্জ হতে বাড়িতে যাওয়ার পথে চরবয়রাগাদী ব্রীজের পূর্ব পাশে পৌছা মাত্র সবুজের মটরসাইকেল ভাঙচুর করে মারধর করে প্রতিপক্ষ আবুল হোসেন, নাসির, কবির, দেলোয়ার গংরা। পরে সংবাদ পেয়ে ছেলেকে বাচাঁতে সবুজের বাবা মজিবুর সহ লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে দুইগ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের নারীসহ ৮/১০ গুরুতর আহত হয়। এসময় আবুল হোসেনের গংরা মজিবুর রহমানের পেটে ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাত করলে মারাত্মক জখম হয়। তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভতি করে। আরো জানাযায়, এ ঘটনায় সবুজ বাদী হয়ে আবুল হোসেনকে প্রধানকরে ১৫ জনকে আসামীকরে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। আর আবুল হোসেনের পক্ষ থেকে আদালতের মাধ্যমে ফতুল্লা মডেল থানায় পাল্টা আরেকটি মামলা দায়ের করে। মামলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাযাওয়া মজিবুর রহমানকেও আসামী করা হয়েছিল।এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মুজিবুর রহমান গুরুতর আহত হয়। ঘটনার ৬ দিন পর (২৩ ডিসেস্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মজিবুর রহমান মারা গেছে।তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে ১৮ ডিসেম্বর নিহতের ছেলে সবুজ বাদী হয়ে ৯/১০ জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা থানায় একটি ৩২৬ ধারায় একটি মারামারি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৩৫১২২০)। ওই দিনই আমরা মামলার ৬ নম্বার আসামী সিফাতকে গ্রেফতার করি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।