বন্দর সংবাদদাতা:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বন্দর ২৭ নং ওয়ার্ডে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মদনপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মাঠে এ আয়োজন করা হয়। ২৭ নং ওয়ার্ড বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সিরাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খোকন সাহা। এ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেন, আজ আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি শতাব্দীর মহানয়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সেই সাথে যাদের প্রাণের বিনিময়ে বিজয় অর্জিত হয়েছে। স্বাধীনতার সময় আমার বয়স ১১ বছর, আমি চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিলাম। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বলতে চাই, ৭৫ সালে যারা জাতির জনককে হত্যা করেছে একই চক্র বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গেছে। কেন ভেঙ্গেছে? তারা বলে, ভাস্কর্য নাকি পুতুল পূজা করে। সৌদি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ভাস্কর্য আছে। ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র, সেখানেও ভাস্কর্য আছে। কোন দেশেই ভাস্কর্য ভাঙ্গা হয় নাই, ওরা ভাস্কর্য নয় বাংলার মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে। বাংলাদেশের মানচিত্রে উপর, সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপ করেছে। বিজয়ের মাসে উল্লাস করার কথা করতে পারছি না। স্বাধীনতা যুদ্ধে কারা নেতৃত্ব দিয়েছিল তা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সকলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এ অঞ্চলের সৎ মানুষ ছিলেন একেএম শামসুজ্জোহা। আমরা চাচা বলে ডাকতাম। শামসুজ্জোহা সৎ মানুষ ছিলেন, তার মতো নিষ্ঠাবান কর্মীবান্ধব নেতা দেখি নাই। কর্মীদের ফেলে রেখে যান নাই। সততার কিংবদন্তি শামসুজ্জোহা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে উনার অবদানকে আজ আমি স্মরণ করছি। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ বিধ্বস্ত নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে শামসুজ্জোহা কাজ করেছিল । তৎকালে কিছু কিছু আওয়ামী লীগ নেতার জন্য আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছিল। কিছু কিছু নেতা কলাগাছ থেকে বটগাছ হয়েছিল, তাদের নাম বলতে চাই না। শততার কিংবদন্তি জোহা সাহেব মারা গেছে। মৃত্যুর সময় ১টা বাড়িতে রেখে গেছেন, তাও সেই বাড়িটা ব্যাংকে ছিল। জিয়াউর রহমান সাহেব সেটা নিলাম করেছিল। অন্যান্য নেতাদের মতো ৫, ৭, ১০টা বাড়ি করেন নাই। পরবর্তীতে তার পুত্র নাসিম ওসমান উন্নয়ন করেছে, বর্তমানে সেলিম ওসমান করছেন, নিজের শত কোটি টাকা ব্যয় করে কাজ করছেন। আমাদের নেতা শামীম ওসমান সর্বপ্রথম ভাস্কর্যের হুমকির বিষয়ে কথা বলেছেন। তার মতো নারায়ণগঞ্জের সকল জনপ্রতিনিধিরা প্রতিবাদ করলে, যারা ভাস্কর্য ভেঙ্গেছে তারা দেশ থেকে পালিয়ে যেত । নেতা ভাস্কর্য ভাঙ্গার বিষয়ে জনসভা ডেকেছেন, এর বিষয়ে কথা বলবেন আপনারা শুনবেন। কিছু কিছু পত্রিকা লেখে আমি নাকি বলি ভালোভাবে উন্নয়ন না করলে জনগণ ভোট দিবে না, কথা সত্যই। ইলেকশন করবেন কর্মীদের পাশে রাখবেন, ইলেকশনে পাশ করবেন ওই কর্মীকে বলবেন আপনে কবে আওয়ামী লীগ করেছেন? এটা ঠিক না। আগামীতে পাশে তাদের পাবেন না। উন্নয়ন না করলে জনগণ প্রত্যাখান করবে। কর্মীদের মূল্যায়ন করতে না পারলে আপনার পাশে থাকবে না। অনুষ্ঠানে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।