Logo

আওয়ামী লীগ সরকারের এক যুগ, তৃতীয় মেয়াদের ২য় বর্ষ পূর্তিতে নেতৃবৃন্দ টানা ক্ষমতায় থাকায় দেশে বড় পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে

আওয়ামী লীগ সরকারের এক যুগ, তৃতীয় মেয়াদের ২য় বর্ষ পূর্তিতে নেতৃবৃন্দ টানা ক্ষমতায় থাকায় দেশে বড় পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা:
৭৫’এর পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকার ৪ বার ক্ষমতায় আসে। তবে, এবছর ৬ জানুয়ারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কণ্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা এক যুগ পূর্তি হলো।১৯৯৬ সালের ২৩ জুন তিনি প্রথম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সে বছরের ১২ জুনের সংসদ নির্বাচনে এককসংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সালে শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এবং টানা ১২ বছর পূর্ণ করলেন।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন এই আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ৩য় মেয়াদের দুই বছরও পূর্ণ হচ্ছে বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারী।আওয়ামী লীগ সরকারের টানা এক যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে জনগণকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা। নেতারা দীর্ঘ এই এক যুগে দেশের উন্নয়নের সমস্ত কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর বলে মন্তব্য করেন। একইসাথে বঙ্গবন্ধু কন্যা বেঁচে থাকলে দেশ হাজার বছর এগিয়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, আমাদের দল আজ একযুগ ক্ষমতায়, অনুভূতিটা অন্য রকম। সব থেকে বড় কথা, যে দলের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে, সে দল আজ ক্ষমতায় আছে। আমরা আশা করি, বঙ্গবন্ধু কন্যা যেহেতু নেতৃত্ব দিচ্ছে, দেশ আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আজ সারাবিশ্বের মতো মহামারি করোনায় আমরা যখন হিমসিম খাচ্ছি, তখন নেত্রী আমাদের সাহস দিয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা এগিয়ে আছি, একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কারণে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোঃবাদল(ভিপি বাদল) বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব উন্নয়নের অগ্রযাত্রা চলছে। উন্নয়ণের মহা সড়কে আজ বাংলাদেশ। এখন নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যে আয়ের দেশে উপনিত হয়েছে বাংলাদেশ। করোনা না থাকলে, বাংলাদেশ আরো উন্নতির দিকে যেতো। ইনশাআল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়, লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই বাংলার মাটিতে, তাদের স্বপ্ন পূরন করবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকার, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের বিজয়ে পতাকা উত্তোলন হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। বর্তমান সরকার টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে, আজ দেশে বড় বড় পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। জনগণের আস্থায়, ভালোবাসায় আমরা দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করছি। শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিলে, এই দেশ হাজার বছর এগিয়ে যাবে। দূর্ভাগ্য আমাদের; বাংলার জাতির পিতাকে অকালে হারিয়েছি। আত্মতৃপ্তি এটাই যে, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বাংলার মাটিতে হয়েছে। এবং এর বিচার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করেছে। যারা বিদেশের মাটিতে আছে তাদেরও বিচার হবে। হাজার বছর বঙ্গবন্ধু বেচেঁ থাকবে, তেমনি হাজার বছর বঙ্গবন্ধু কণ্যা থাকবে এবং এই দেশ হাজার বছর এগিয়ে যাবে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেন, এই এক যুগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ণ করেছে, ১৯৪৭ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত কেউ এই উন্নয়ণ করেনি। আজ শিক্ষা খাত, স্বাস্থ্য খাত, যোগাযোগ খাত, আইসিটি খাত এ সকল উন্নয়ণের জন্য আমরা বাঙ্গালীজাতি শেখ হাসিনা’কে সারাজীবন মনে রাখবো। আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি শেখ হাসিনা যতদিন বেচেঁ থাকবে উন্নয়ণের খাত তত বাড়তে থাকবে। শিল্পখাতসহ সব দিকেই কিন্তু আজ আমরা উন্নয়ন দেখছি। এগুলো সব কিছুর একক দাবীদার আমাদের নেত্রী মাতৃতুল্য শেখ হাসিনা।মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম বলেন, আমরা সফল। আমাদের নির্বাচনের ইশতেহার যা ছিলো বা আমাদের মূল যে উদ্দেশ্য ছিলো, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, অর্থনিতি মুক্তি বাংলাদেশ, আত্মমর্যাদার বাংলাদেশ, স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তি, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দেশ, আমরা সর্বক্ষেত্রে আমাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী দিনে এই চেতনা ও অনুভূতি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আগামীতে আমরা নেতৃত্ব দিতে পারবো। যাতে বিশ্বের মানচিত্রে আমরা বাঙ্গালী জাতি হিসেবে মাথা উচুঁ করে প্রতিষ্ঠিত হতে পারি। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এক যুগে যে উন্নয়ণ করেছে, আমি মনে করি স্বাধীনতার পর থেকে এই সফলতা বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা ছাড়া কারো পক্ষে সম্ভব নয়। বাংলাদেশের একটা বড় সংকট ছিলো বিদ্যুৎ, সেই সংকট কাটিয়ে পরিপূর্ণ বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গরীব দুঃখী মানুষদের সব সময় পাশে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ আমরা গর্ববোধ করি প্রধানমন্ত্রীর জন্য।  জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, প্রথমত আমি আমার সংগঠন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই ১ যুগে আমাদের সব থেকে বড় ব্যাপার, বাংলাদেশে নিজস্ব অর্থায়নে আওয়ামীলীগ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব স্বপ্নের পদ্মা সেতু করতে সক্ষম হয়েছে। সারা বাংলাদেশে আমুল একটা পরিবর্তন এসেছে। এই এক যুগে বাংলাদেশ একটি নিম্ন আয়ের দেশে থেকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর হয়েছে। আমরা প্রতিটা ক্ষেত্রেই সফলতা পেয়েছি। শিক্ষা বলেন, কৃষি বলেন, সকল স্থানেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমার বিশ্বাস খুব শীঘ্রই, আমাদের দেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com