আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক গৃহবধূ (৩৮) কে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নির্যাতিতা নারী বাদি হয়ে গত বুধবার রাতে মামলা করেন। মামলায় পাঁচ ব্যক্তির নাম উল্লেখ্য করাসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলো- স্থানীয় পাঁচরুখী মাইজপাড়া এলাকার হুমায়ন কবির ডিপ্টির ছেলে আনাছ (২২), মনিরের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৮), নুরুল ইসলামের ছেলে রুবেল (৩৪), মৃত আব্দুল্লার ছেলে সাব্বির (২৫) ও মহব্বত আলীর ছেলে মঈন (২৩)। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্যাতিতা নারীর পক্ষ থেকে পাঁচ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। এর আগে ২০২০ সালের ২৬ সিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় পাঁচরুখী মাইজপাড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের চাপে তিনি আইনি সহযোগিতা নিতে পারছিলেন না। নির্যাতিতা নারী বলেন, স্বামীর বাড়ি থেকে পাশের গ্রামে আমার বাবা বাড়িতে যাওয়ার সময় একটি নির্জন স্থানে একাপেয়ে অভিযুক্তরা টেনে-হেঁচড়ে বিবস্ত্র করে মাটিতে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তিনি বলেন, আমি কামড় দিয়ে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করি। বখাটেরা আমার হাত তাদের পা দিয়ে থেঁতলে দেয়। ডাক-চিৎকার শোনে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে পাশের এক নারী এসে কাপড় দিয়ে আমার শরীরির ডেকে দেন। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের চাপে আমি আইনি সহযোগিতা নিতে পারছিলেন না। থানায় দেয়া এজাহারে বাদী উল্লেখ্য করেন, স্থানীয় হুমায়ন কবির ডিপ্টির ছেলে আনাছসহ অভিযুক্তরা গৃহবধূকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে তিনি রাজী ছিলেন না। ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে তিনি তার বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় মাইজপাড়া ভূঁইয়াপাড়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় নির্জন স্থানে তাকে একাপেয়ে বখাটেরা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এক পর্যায়ে তার শরীরে লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করা হয়। টেনে-হেঁচড়ে তাকে বিবস্ত্র করে মাটিতে ফেলে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।