সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে মাদক বিরোধী অভিযানে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব নিয়মিত আভিযানিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদকের চোরা চালান, চোরা কারবারী, চোরা চালানের রুট, মাদকস্পট, মাদকদ্রব্য মজুদকারী ও বাজারজাত কারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাচ্ছে। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ৮ টায় র্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সীমান্তবর্তী এলাকা হতে একটি কাচামাল ভর্তি পিকআপ গাড়িতে করে ফেনসিডিল মাদকের একটি বড় চালান নিয়ে রাজধানীর ঢাকার আদাবর থানা এলাকায় হাস্তান্তরের জন্য আসছে। প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র্যাবের আভিযানিক দল ৮ টা ১০ মিনিটে রাজধানী আদাবর থানাধীন শ্যামলী লিং রোডস্থ শ্যামলী খেলার মাঠের মেইন গেটের সামনে পাকারাস্তার উপর চেক পোস্ট স্থাপন করে। অতপর ৮ টা ৩৫ মিনিটে কাচামাল বোঝাই পিকআপ ভ্যানটি উক্ত স্থানে পৌঁছলে থামার জন্য সংকেত দিলে গাড়ি থামিয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে আসামী মোঃসারোয়ার আলী(৩৩),মোঃরুবেল সিকদার(৩০)কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের ফেনসিডিলের চালান সংক্রান্তবিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে গাড়িতে ফেনসিডিল আছে বলে স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্য মতে গাড়ি উপরে সাজানো টমেটো, কুল ও পেয়ারা ক্যারেটের ভিতরে অভিনব পন্থায় লুকানো এক হাজার এক বোতল ফেনসিডিল ও পলিথিনে মোড়ানো ১ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়, যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক- ১৫ লাখ টাকা। আসামীরা আরো জানায় যে, রাজধানীতে নেশা জাতীয় দ্রব্যর ব্যাপক চাহিদা থাকায় দেশের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে অভিনব পন্থায় নিত্য নতুন কৌশলে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসা ফেনসিডিল ও গাঁজা স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে বড়লোক হবার নেশায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে চড়া দামে বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীদের কে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাচাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখবে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।