Logo
HEL [tta_listen_btn]

না’গঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রাণের ছোঁয়া

না’গঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রাণের ছোঁয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা:
প্রাণের ছোঁয়া লেগেছে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে। প্রধান ৩টি দলের জেলা, মহানগর ও থানা কমিটি পূর্ণাঙ্গ রূপ নেয়ায় তৃণমূলে আশার আলো জেগেছে। ইংরেজি নববর্ষের সূচনালগ্নে নতুন কমিটি গঠনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ, বিরোধীদল বিএনপি ও জাতীয় পার্টিতে বেশ তৎপরতা শুরু হওয়ায় উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ।ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের জেলা ও মহানগর কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও নতুন বছরের শুরুতেই থানাগুলোর পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিতে শুরু করেছে জেলা আওয়ামীলীগ।অপরদিকে, দীর্ঘ বছর যাবত মেয়াদোত্তীর্ণ থাকা বিরোধীদল জাতীয় পার্টির মহানগর ও বিএনপির জেলা কমিটি গঠনে আহŸায়ক কমিটি গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। জানাগেছে, গত ২০১৯ ও ২০২০ সালে আড়াইহাজার ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের আংশিক কমিটি গঠন করা হলেও চলতি বছরের শুরুতেই অনুমোদন দেয়া হয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি।  সাইফউল্লাহ বাদলকে সভাপতি ও এম শওকত আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে ঘোষিত ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
গত ১০ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের এই পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন। এরআগে, সম্মেলনের প্রায় দেড় বছর পর আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ।  গত ৭ জানুয়ারি স্থানীয় সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবুকে সভাপতি ও খুরশীদ আলম সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল।  অপরদিকে, প্রায় ১০ মাস পর এড. তৈমূর আলম খন্দকার ও মামুন মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন ৫টি পৌর ও ৫টি থানাসহ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই গত ৯ জানুয়ারি প্রথম সভা করেছেন আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দরা। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড. তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘জেলা বিএনপিকে মডেল হিসেবে তৈরি করার চিন্তা করছি। কমিটি গঠনে দলীয় নেতাদের মূল্যায়ণ, সরকারী দলের সাথে আঁতাত করে চলা নেতাকর্মীদের খুঁজে বের করার চিন্তা করছি। সবই গণতান্ত্রিক ভিত্তিতে হবে, দলের জন্য যারা কাজ করেছেন তারাই মূল্যায়িত হবে।’ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ জানিয়েছেন, ‘সকলের মতামতের ভিত্তিতেই আগামী তিন মাসের মধ্যে পাঁচটি থানা কমিটি ও পাঁচটি পৌরসভা কমিটি গঠন করা হবে। যারা যোগ্য তাদের অবশ্যই কমিটিগুলোতে মূল্যায়িত করা হবে, কাউকে বাদ দেয়া হবে না।’ এদিকে, বারং বার ঘোষণার পর এবার বেশ জোরেশোরেই কোমড় বেঁধে দলকে শক্তিশালী করতে মাঠে নেমেছে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। ইতিমধ্যেই আকরাম আলী শাহীনকে আহ্বায়ক ও আফজাল হোসেনকে সদস্য সচিব করে ১৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। গত ১১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এক আদেশে দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ও পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর সুপারিশে এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির অনুরোধক্রমে আকরাম আলী শাহীনকে আহ্বায়ক ও আফজাল হোসেনকে সদস্য সচিব করে ১৩৬ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় পার্টি নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সস্মেলন প্রস্তুতি কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। এরপর থেকেই সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটিতে পদ পেতে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com