সিদ্ধিরগঞ্জ সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুহুল আমিন ড্রেজার ব্যবসা করেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তার ব্যবসা ঠিক রাখতে গিয়ে ভাঙ্গারপুল সড়ককে মৃত্যুফাঁদে পরিণত করেছেন। পাঠানতলী, আইলপাড়া, বাঘপাড়া, গোদনাইল, ধনকুন্ডাসহ কয়েকটি এলাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডের গোদনাইল এলাকার ভাঙ্গারপুল সংলগ্ন সড়কটি সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জ প্রবেশের মূল সড়ক। যেটি নারায়ণগঞ্জ-আদমজী সড়ক হিসেবে পরিচিত। চাষাঢ়া থেকে চৌধুরীবাড়ি, গোদনাইল, আদমজী চিটাগাংরোড সিদ্ধিরগঞ্জে যাওয়ার ব্যস্ততম সড়ক এটি। সেই সড়রকের ‘ভাঙ্গারপুল’ নামক স্থানে এ মূল সড়কের নিচ দিয়ে সুরঙ্গ করে ড্রেজারের পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। তাতে কোন নিয়ম যেমন মানা হয়নি, নেয়াও হয়নি কোন সংশ্লিষ্টদের অনুমতি। ড্রেজারের এই পাইপ স্থাপনের ফলে ডেবে গেছে সড়কটির কিছু অংশ, একইসাথে ফাটলও ধরেছে সড়কের অন্যান্য অংশে। এতে করে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলরত ছোট থেকে ভারী যানবাহনের। আর এই পাইপ স্থাপনের জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিনকেই দুষছেন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, কাউন্সিলর ড্রেজার ব্যবসা করেন। তার সুবিধার্থে তিনি এই কাজটি করেছেন। তার এই কাজের ফলে জনসাধারণের ভোগান্তির কথা তিনি একবারের জন্যও মাথায় নেন নি। সড়কের তলদেশ দিয়ে নেয়া এই পাইপ লাইনের বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগকেও অবগত করা হয় নি। এদিকে শনিবার (৩০ জানুয়ারি) মেঘনা থেকে চিনি বোঝাই একটি ট্রাক যাচ্ছিলো নিতাইগঞ্জে। যাওয়ার পথে সিদ্ধিরগঞ্জের ভাঙ্গারপুল সংলগ্ন ওই এলাকায় আসলে সেই সুরঙ্গ করে ডেবে যাওয়া অংশে বাম পাশের জোড়া চাকার প্রায় অর্ধেক ডেবে যায় ট্রাকটির। ওই সময় সড়কের এক পাশ দিয়ে সব পরিবহন যাতায়েত করতে হয়, সৃষ্টি হয় যানজটের। প্রথমে দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে তোলার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে পরে র্যাকারের সাহায্যে ট্রাকটিকে টেনে তোলা হয়। শুধু এই একটি ট্রাকই নয়, অহরহ এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন অনেক যানবাহন। স্থানীয়রা বলছেন, ‘বড় কোন দূর্ঘটনার আগেই সড়কটিকে নিচ দিয়ে তৈরি এই পাইপ সরিয়ে রাস্তাটি সংষ্কার করা হোক’। তবে, স্থানীয়দের অভিযোগ মিথ্যা জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, ‘আমার ড্রেজারের ব্যবসায় নেই। কাউন্সিলর আলা হোসেন, মেহেদী, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পাইপ আছে। কারা এই ড্রেজারের ব্যবসা করছে সেটা আমার দেখার বিষয় না। আমি যতটুকু জানতে পেরেছি, তারা সিটি কর্পোরেশনের কাছে এই ব্যবসার জন্য অনুমতি চেয়েছে’। জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের(সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কের তলদেশ দিয়ে পাইপের কোন পারমিশন আমরা দেই নি। আইনী সহযোগীতায় প্রয়োজনের তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে’।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।