নিজস্ব সংবাদদাতা:
করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন। ১ লাখের মতো ডোজ রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) পর্যন্ত দেশের প্রায় ৩০টি জেলায় টিকা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৩ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত বাকি জেলাগুলোতেও পৌঁছাবে করোনার টিকা, এমনটাই জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে, কবে আসবে নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসের টিকা তা জানেন না সিভিল সার্জন। ২০ জানুয়ারি ভারত সরকারের উপহার অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এবং সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশে পৌঁছায়। এরপর ২৫ জানুয়ারি আসে সরকারের কেনা তিন কোটি ভ্যাকসিনের প্রথম ৫০ লাখ ডোজ। এছাড়াও কোভ্যাক্সের কাছ থেকে বিশ্বের ৯২টি দেশের মতো বাংলাদেশও মোট জনসংখ্যার শতকরা ২০ ভাগ জনগোষ্ঠী অর্থাৎ ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষের জন্য ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাবে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৭জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা দান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে একযোগে টিকা দেয়া শুরু হয়। পরবর্তীতে এক এক করে দেশের প্রতিটি জেলায় টিকা পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ছিল টিকা পৌঁছানোর কার্যক্রমের প্রথম দিন। সেদিন ২৮ জেলায় টিকা গেছে। শুক্রবার ১০, শনিবার ১৮ ও রোববার ৫টি জেলায় করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, ‘পত্রিকায় দেখেছি ৩ জানুয়ারির মধ্যে সব জেলায় টিকা যাবে। যদি সব জায়গায় যায়, তাহলে নারায়ণগঞ্জেও আসবে। তবে কবে আসবে নারায়ণগঞ্জে টিকা তা জানা যায়নি। যেকোন সময়ই টিকা গ্রহণ করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের ১ লাখের মতো ডোজ রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।