Logo
HEL [tta_listen_btn]

রাসেল পার্কের রাস্তায় খাবারের দোকান নয় মেয়র আইভী

রাসেল পার্কের রাস্তায় খাবারের দোকান নয় মেয়র আইভী

নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, রাসেল পার্কের রাস্তায় কোন খাবারের দোকান বসতে দেবো না। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে শেখ রাসেল পার্কের প্রায় ৭০ভাগ কাজ হয়ে গেছে, মাঠের কাজ হয়ে গেছে, চারুকলা ভবনের আরেকটি ছাদ ঢালাই দিলে ৩য় তলার ভবনটি হয়ে যাবে। আমরা মাঠের বাইরে গিয়েও কাজ করছি, অর্থাৎ যেখানে রেলওয়ের বস্তিগুলো দখল করেছিলো সেখানেও আমরা একটি পার্ক বানাচ্ছি। সকল ধরণের খাবারের সাইট গুলো সেখানে নিয়ে যাচ্ছি মানে একটা ফুডজোন করছি। আমরা রাস্তায় কোনো খাবারের দোকান থাকতে দিবো না।  শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে নগরীতে এক পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। মেয়র আইভী বলেন, ‘আমি এই এলাকার যুব সমাজ ও মুরুব্বিদের অনুরোধ করবো, এই পার্কে যাতে কোনো ধরণের অকারেন্স না ঘটে সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। এই পার্কে দেশের বিভিন্ন যায়গা থেকে মানুষ দেখতে আসে, তাই আমি চাই যাতে কোনো ভাবইে দেওভোগবাসীর নাম খারাপ না হয়। অনেক কষ্ট করে জেল জুলুমের মধ্যে আমাকে এই পার্কটি করতে হয়েছে। অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে, মামলা কিন্তু এখনো চলছে। অতএব আপনাদের কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ, আপনারা যেভাবে আমাকে এই পার্কটি করতে সহযোগীতা করেছেন, ঠিক একি ভাবে পার্কটি হয়ে যাওয়ার পরেও আপনাদের সহযোগীতা যাতে অব্যহত থাকে। নগরে বিভিন্ন জায়গায় আমি মাঠ করছি, আমার এই উন্নয়নে আপনারা শরীক হবেন এই প্রত্যাশা রাখছি’। মেয়র আইভী আরও বলেন, ‘এই কাঠঁপট্টিতে দেওভোগের অনেকেই আমাকে সহোযোগীতা করেছেন। অনেক সংগঠন কম-বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, ন্যাশনাল ক্লাব, উল্লাসের ক্লাব এবং সমাজ উন্নয়নের ক্লাবটি, যেটা ১৯৬৫ সালেরও আগে সিটির পৌরসভা থেকে রিট নিয়েছিলো। সেই বিল্ডিং টিও ভাঙ্গতে হয়েছে। আসলে সময়ের প্রয়োজনে আমাদের এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে, সকলকে আমাকে সহযোগিতা করেছেন। বলার পরেই সবাই সরিয়ে নিয়েছেন। আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে আলহাজ¦ মনোয়ার হোসেন মনা যিনি দেওভোগ ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি উনাকে অনুরোধ করবো উনি যদি বলেন আমাদের এখানে যে আওয়ামীলীগের অফিসটি আছে, সেখানে একটি ৪তলা বিল্ডিং করে দিবো। তাহলে আওয়ামীলীগ অফিসও থাকবে এছাড়াও উল্লাস, ন্যাশনাল ক্লাবের একটি জায়গা করে দিতে চাই। এটি আপনার কাছে আমার বিনয় অনুরোধ শুধু আপনি একটি মৌখিক পারমিশন দেন আমি এটি করে দেবো। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বলেন, ‘পার্কের ভেতরে কোনো সংগঠনকে জায়গা দেয়া যাবে না। যদি একটি সংগঠনকে দেই তাহলে অন্যান্য সংগঠনগুলো চাইবে। পার্কের মধ্যে যদি কোনো সামাজিক সংগঠন থাকে, তারা যে অন্যায় কাজ করবে না তার কোনো গ্যারান্টি নাই। কারণ, সিনিয়ররা সব সময় থাকে না। এছাড়া আপনারা যদি কোনো জায়গা বের করেন যেটাতে পার্কের কোনো ক্ষতি হবে না, সেক্ষেত্রে আমি একটা ব্যবস্থা করতে পারি। আমি দুইটা প্রস্তাব দিলাম আপনারা আলাপ আলোচনা করে আমাকে জানাবেন’।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com