ভ্রাম্যমান সংবাদদাতা:
টার্গেট বড় অঙ্কের টাকা উত্তোলনকারী। তাই ব্যাংকের আশপাশে ঘোরাফেরা করেন তারা। টার্গেট মিলে গেলে সুযোগ বুঝে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তোলা হয় গাড়িতে। ছিনিয়ে নেয়া হয় সব টাকা। এভাবেই গত ৫-৭ বছর ধরে ডাকাতি করে আসছিল একটি চক্র। ৭ জনকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসছে সব খবর। পুলিশ বলছে, এ চক্রের সদস্য সংখ্যা কমপক্ষে ১৭ জন। চক্রের সদস্যরা এমএনপি বা মোবাইল নম্বর পোর্টেবেলিটি ব্যবহার করায় তাদের ধরতে বেগ পেতে হয়েছে পুলিশকে। রাজধানীর আজিমপুরের উত্তরা ব্যাংকের ভেতরের সিসি ক্যামেরার চিত্র থেকে দেখো যায় টাকা তুলছেন একজন। তাকে অনুসরণ করছেন এক ব্যক্তি। টাকা উত্তোলনকারী ব্যাংক থেকে বের হওয়ার আগেই বের হয়ে যেতে দেখা যায় অনুসরণকারীকে। ব্যাংক থেকে বের হয়ে টাকা উত্তোলনকারী ওঠেন রিকশায়। তাকে অনুসরণ করতে থাকে একটি প্রাইভেটকার। ব্যাংক থেকে মাত্র ৮০০ গজ দূরে আজিমপুরের ভাতের গলিতে রিকশাটির গতিরোধ করে টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তিকে তুলে নেয়া হয় প্রাইভেটকারটিতে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে গাড়িটির গতিবিধি। সর্বশেষ হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় দেখা যায় গাড়িটি। ব্যাংক থেকে তোলা ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ভুক্তভোগীকে ফেলে দেয়া হয় নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে। মামলার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চক্রের একজনকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যে গ্রেফতার হয় আরো ৬ জনকে। ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও চক্রের সদস্য সংখ্যা কমপক্ষে ১৭ জন। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং আশপাশের এলাকায় ৫ থেকে ৭ বছর ধরে ডাকাতি করে আসছিল এ চক্রটি। চক্রের সদস্যদের মধ্যে আছেন আইটিতে বিশেষজ্ঞ। তাদের অনেকেই ব্যবহার করেন এমএনপি বা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি সার্ভিস। অর্থাৎ মোবাইল নম্বর পরিবর্তন না করেই অপারেটর পরিবর্তন সেবা। ফলে অপরাধী শনাক্তে পুলিশকে বেগ পেতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।