Logo

ফের বেদখল গোলাকান্দাইল চৌরাস্তা

ফের বেদখল গোলাকান্দাইল চৌরাস্তা

রূপগঞ্জ সংবাদদাতা:
রূপগঞ্জে গোলাকান্দাইল চৌরাস্তার পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর বাস স্টপেজের জায়গায় গড়ে উঠা পিকআপ স্ট্যান্ডটি উচ্ছেদের ১ দিন না হতেই ফের দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  জনদূর্ভোগ লাঘবে গত বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন মজুমদারের নেতৃত্বে এই পিকআপ স্ট্যান্ডটি উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে উচ্ছেদের একদিন না হতেই পিকআপ স্ট্যান্ডটি আগের অবস্থায় ফিরে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রী ও পথচারীরা। জানা গেছে, পিকআপ স্ট্যান্ডটি মূলত বাস স্টপেজের জন্য নির্ধারিত করা হয়ে ছিলো। কিন্তু তা না করে গড়ে উঠেছে পিক-আপ স্ট্যান্ড। আর এদিকে বাস স্টপেজ করা হয়েছে পুরো রাস্তা জুড়ে। যাত্রী নামার জন্য বাস স্টপেজের জন্য জায়গা থাকা সত্বেও দখলদারদের জন্য এখন ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী উঠা-নামা করছে সড়কের মাঝখানে। সড়কের মাঝে একটি বাস যাত্রী উঠা-নামার জন্য থামালে তার পিছনে রেলের বগির মতো লম্বা সিরিয়ালে যানজট লেগে থাকে। এছাড়া প্রতিনিয়ত শতাধিক পিক-আপ রাস্তা দখল করে থাকায় গোলাকান্দাইল চৌরাস্তায় যানজট লেগে থাকে। পথচারী ও যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পিকআপ রাখায় গোলাকান্দাইল চৌরাস্তায় যানজট লেগে থাকে। এই স্ট্যান্ডে রয়েছে প্রায় ১শ’ পিকআপ। আর এসব মালবাহী যান কিছুক্ষণ পর পরই স্ট্যান্ড থেকে সড়কে বের হচ্ছে এবং স্ট্যান্ডে ঢুকছে। ঝুঁকি নিয়ে সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের।  এ বিষয়ে পিকআপ স্ট্যান্ডের লাইনম্যান শফিউল্লাহ জানান, এটা অবৈধ স্ট্যান্ড নয় এটা পিকআপ রাখার জন্য স্ট্যান্ড তৈরি হয়েছে। অথচ রোডস এন্ড হাইওয়ে সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে এটা বাস স্টপেজ। কিন্তু এখানে বাস স্টপেজের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে পিকআপ স্ট্যান্ড।  এ বিষয়ে ভূলতা ট্রাফিক পুলিশের টিআই মনির বলেন, পিকআপ স্ট্যান্ডটি আগে পুরো মহাসড়কে দু‘টি লাইনে বিভক্ত ছিল। এখন আমরা একটি লাইন রেখে অপর একটি লাইন ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
এছাড়া বাস স্টপেজের জায়গার বিষয়ে তিনি বলেন, এই জায়গায় পিকআপ স্ট্যান্ডটি আমি ভূলতা এলাকায় আসার আগে থেকেই ছিল। তাই এখন পর্যন্ত আছে।  এ বিষয়ে ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন মজুমদার বলেন, আগেও আমি তিনদিন বলেছি এই পিকআপ স্ট্যান্ড সরাতে কিন্তু তারা আমার কথা কোনভাবেই শুনে নাই। তাই বাধ্য হয়ে উচ্ছেদ করি এবং দুটি পিকআপ সাথে সাথে ধরে রেকার বিলের মাধ্যমে জরিমানাও করি। এছাড়া এখন আবার বসেছে সেটা আমার জানা নেই যদি বসে থাকে পুনরায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।  এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ-আড়াইহাজার ‘গ’ সার্কেল মাহিন ফরাজি বলেন, এই পিকআপ স্ট্যান্ডটি মূলত বাস স্টপেজ। আগে একবার পিকআপ স্ট্যান্ডটি উচ্ছেদ করা হয়েছিল। আবারও যদি বসে থাকে আমরা তার ব্যবস্থা নিব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com