নিজস্ব সংবাদদাতা:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় শাহবাগে প্রতিবাদ মিছিলে হামলাকারীদের শাস্তি ও গ্রেফতারকৃত ছাত্রনেতাদের মুক্তির দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে নগরীর একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন নেতৃবৃন্দ। বাসদের জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, জেলা গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি সেলিম মাহমুদ, রি রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্টের জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এম কাদির, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মত একটি কালো আইনের শিকার হয়ে বিনা বিচারে কারাগারে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করেন লেখক মুশতাক আহমেদ। এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। সরকারের অনিয়ম দুর্নীতির সমালোচনা করা নাগরিকদের কোন অপরাধ হতে পারে না। সরকারের সমালোচনা আর রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা এক হতে পারে না, বরং দুটি ভিন্ন সত্ত¡া। সরকার দুটিকে এক করে ফেলেছে। ফলে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার কথা বলে নাগরিকদের মত প্রকাশের অধিকার হরণ করছে। যেটি সংবিধান পরিপন্থী কাজ। আদালতে ছয়বার জামিন চাইলেও তা নামঞ্জুর করা হয়। অর্থাৎ পরিকল্পিতভাবে লেখক মুশতাককে হত্যা করা হয়েছে। এর বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তি দিতে হবে। সরকারের অনিয়ম দুর্নীতি, লুটপাট, ভোট চুরি, গুম, খুন, দমনপীড়নের বিরুদ্ধে জনগণের কণ্ঠরোধ করার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে।’ বক্তারা আরও বলেন, ‘ লেখক মুশতাকের হত্যাকান্দের প্রতিবাদে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর বর্বরোচিত পুলিশি হামলা করা হয়েছে। এতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাছিরউদ্দিন প্রিন্স, নারায়ণগঞ্জ জেলার অর্থ সম্পাদক মুন্নী সরদারসহ অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হয়। ৭ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করে জেলখানায় অন্তরীণ করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃত ছাত্র নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।’ মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, মন্ডলপাড়া মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন বিভিন্ন দাগে ৮২ দশমিক ৯০ শতাংশ মীর শরিয়ত উল্লাহ (মন্ডলপাড়া জামে মসজিদ) ওয়াক্ফ এস্টেট রয়েছে। এই জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে সিটি মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। তবে এই এস্টেট থেকে ৪৩ শতাংশ জমি নারায়ণগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের জন্য দেওয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ‘জেলা পরিষদ কী নারায়ণগঞ্জবাসী জানত না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এই চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করেন। তখন বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় আমি জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। মানুষের কল্যাণে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।