Logo
HEL [tta_listen_btn]

সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী লোকজ উৎসব শুরু

সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী লোকজ উৎসব শুরু

সোনারগাঁ সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব উদ্বোধন করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সোমবার (১ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফিন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তইন বিল্লাহ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন প্রমুখ। উদ্বোধন শেষে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘করোনার কারণে সোনারগাঁ জাদুঘর উন্নয়নে প্রকল্প ব্যাহত হয়নি। ইতিমধ্যে টেন্ডার হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীও এর অনুমোদন দিয়েছেন। আশা করছি, মাসক্ষানেকের মধ্যে আমরা এটার কাজ শুরু করবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই তাদের পূর্বপুরুষদের মত লোকজ শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছেন না। নতুন প্রজন্ম পড়াশোনা করে অন্যান্য পেশার সাথে যুক্ত হচ্ছে। তবে এটা পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে নয়। এখনও এ পেশায় যারা আছেন তারা খুব একটা খারাপ অবস্থায় নেই। আমরা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছি।’ বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন সূূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন শুরু হওয়া মেলা মার্চ মাস জুড়ে চলবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী খোলা থাকবে। মাসব্যাপী এই মেলায় থাকছে নওগাঁ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি, চট্টগ্রামের তালপাখা ও নকশী পাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁয়ের হাতি, ঘোড়া, পুতুল ও কাঠের কারু শিল্প, নকশীকাঁথা, বেত ও বাঁশের কারুশিল্প, নকশী হাতপাখা, সিলেট ও মুন্সিগঞ্জের শীতল পাটি, কুমিল্লার তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা শিল্প, সোনারগাঁয়ের পাটের কারুশিল্প, নাটোরের শোলার মুখোশ শিল্প, মুন্সিগঞ্জের পটচিত্র, ঢাকার কাগজের হস্তশিল্পসহ মোট ৭৫টি স্টল। এছাড়াও লোক কারুশিল্প মেলা ও লোক উৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গাঁয়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com