Logo
HEL [tta_listen_btn]

বর্ণাঢ্য আয়োজনে শামীম ওসমানের জন্মদিন পালিত

বর্ণাঢ্য আয়োজনে শামীম ওসমানের জন্মদিন পালিত

নিজস্ব সংবাদদাতা:
নানা আয়োজনে শামীম ওসমনের জন্মদিন পালিত হয়েছে। জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন কেক কাটা, আলোচনা সভা এবং আতশবাজি ও আলোকসজ্জা করা হয়েছে।  শামীম ওসমান’ নামটি এখন আর নারায়ণগঞ্জে নয়, পুরো বিশ্বে তাঁর নাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কিন্তু তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভ্রান্ত ছড়ায়, অপপ্রচার ছড়ায়। তাই আমরা শামীম ওসমানকে নিয়ে ভারচুয়্যাল পেজ করেছি, যার নাম ‘একজন শামীম ওসমান’। যেখানে থাকবে শামীম ওসমানের সঠিক তথ্য। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ৬০ তম জন্মদিন উপলক্ষে ভিন্ন রকম আয়োজনে এমন তথ্যই জানালেন দেশের ক্রীড়ঙ্গনের অতিপ্রিয় মুখ তানভীর আহম্মেদ টিটু। যিনি অনুষ্ঠানের মধ্যমনি সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের শ্যালক, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতিও।
অনুষ্ঠানে “এ কে এম শামীম ওসমান” নামে ওয়েবসাইট পেইজ ও “একজন শামীম ওসমান” নামে ডকুমেন্টারি প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তার বড় ভাই সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, সংসদ সদস্য বন্ধু লিয়াকত হোসেন খোকা ও পরিবারের সদস্যরাসহ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ৩ ঘন্টার ওই অনুষ্ঠানে তানভীর আহম্মেদ টিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।
অনুষ্ঠানে তানভীর আহম্মেদ টিটু বলেন, ‘শামীম ওসমান একজন খেলা প্রেমি মানুষ, তিনি নারায়ণগঞ্জে খেলার জন্য অনেক সুযোগ করে দিয়েছেন, ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিসসহ বিভিন্ন খেলার মাঠ, স্টেডিয়াম করে দিয়েছে। সব সময় মানুষকে খেলার জন্য উৎসাহ দিয়েছে। শামীম ওসমানের উদ্দ্যেগে নারায়ণগঞ্জে একটি পূনাঙ্গ ক্রীয়া কমপ্লেক্স করে দেয়া হচ্ছে। যেটার নাম তার বাবার নামে হবে, একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীয়া কমপ্লেক্স। একজন খেলোয়ারের সব ধরণের ফ্যাসিলিটিস পাবে সেখানে। তানভীর আহম্মেদ টিটু বলেন, একজন শামীম ওসমানের মতোই ঠিক একই ভাবে একজন সেলিম ওসমান। যে কিনা একমাত্র পার্লামেন্ট এর সদস্য, নিজের পকেটের টাকা খরচ করে নিজের এলাকার উন্নয়ণ করছে। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ণ করছে। তিনি সামান্য কিছু টাকা নয়, প্রায় শতাধিক কোটি টাকা ব্যয় করেছেন নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ণের জন্য। আজকের এই দিনে খুব মিস করছি নাসিম ভাইকে, উনি খুবই একজন ভালো মানুষ ছিলেন। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। রাত সাড়ে নয়টায় অনুষ্ঠানের মধ্যমণি শামীম ওসমান বিশাল আয়োজনস্থলে এসে উপস্থিত হন। শুরুতেই এই আলোচিত রাজনীতিবিদের শৈশব থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন পরিবারের সদস্যরাসহ, নিকট আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও ঘনিষ্ঠজনরা। এসময় অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। রাত এগারোটার দিকে উৎসবমুখর পবিবেশে পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে কেক কেটে নিজের ষাটতম জন্মদিন পালন করেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। এ সময় প্রচুর আতশবাজি ফোঁটানো হয়। নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শামীম ওসমান এই আয়োজনের জন্য পরিবারসহ উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং নিজের জন্য দোয়া চান। সবার কাছে দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যেও।
ছোট ভাইয়ের জন্মদিনে সেলিম ওসমানের উইশ
ছোট ভাই শামীম ওসমানের জন্মদিনটিকে বড় ভাই সেলিম ওসমান দারুণভাবে উপভোগ করেছেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, অনেকবার শামীমকে বিপদে ফেলা হয়েছে। জোড়া খুনের মামলায় ফেলা হয়েছে, অনেক সময় নিজের গুরুও তাকে গ্রেপ্তার করিয়েছে। বিভিন্ন সময় জেলখানায় গেছে। অনেক বিপদ আসছে, আরও আসতেও পরে। শামীমকে বলবো মানুষের জন্য হলেও কাজ করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ৬০ তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শনিবার (২৮ ফেব্রæয়ারি) রাতে এ কথা বলেন তাঁর বড় ভাই ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে ফতুল্লায় নম পার্কে পরিবারের পক্ষ থেকে জন্মদিনের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ প্রায় ৩ ঘন্টার পুরো অনুষ্ঠানটি তানভীর আহম্মেদ টিটু সঞ্চালনায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। তানভীর আহম্মেদ টিটু অনুষ্ঠানের মধ্যমনি সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের শ্যালক। যিনি নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি।  অনুষ্ঠানে সেলিম ওসমান বলেন, ‘আমরা ৫ ভাই-বোন। শামীম ওসমান ছোট বেলা থেকেই আমাদের থেকে আলাদা। শামীম সব সময়ই আমাদের আদরের। চেয়ে ছিলাম নিজে রাজনীতি করবো না। মন্ত্রীত্বের প্রতি আমাদের লোভ নাই। কখনোই আমাদের পরিবারের কারোর লোভ নাই। আমার দাদারও ছিল না। বাবারও ছিল না। আমার ভাইয়েরও ছিল না। আমাদেরও নাই। কিন্তু ভেবে ছিলাম এদেশের একটা বড় মন্ত্রীত্ব শামীমের ধারা আসবে।’ সেলিম ওসমান আরও বলেন, ‘শামীমের ৬০ বছর হয়ে গেছে কিন্তু আমি ভাবতেও পারিনি। শামীম নিজেকে ৬০ বছরের বুড়া ভাবলে চলবে না। তোমার নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করতে হবে। আজ তুমি বলো, তোমার আগামীর পরিকল্পনা কি? আমি চেষ্টা করবো একজন কর্মী হয়ে কাজ করতে। আমার জন্য দোয়া করেন আর না করেন, শামীমের জন্য দোয়া করেন। আমার থেকে বেশি শামীমকে বেঁচে থাকতে হবে। নারায়ণগঞ্জের জন্য, জেলার মানুষের জন্য।’ রাত সাড়ে নয়টায় অনুষ্ঠানের মধ্যমণি শামীম ওসমান বিশাল আয়োজনস্থলে এসে উপস্থিত হন। শুরুতেই এই আলোচিত রাজনীতিবিদের শৈশব থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন পরিবারের সদস্যরাসহ, নিকট আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও ঘনিষ্ঠজনরা। এসময় অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। রাত এগারোটার দিকে উৎসবমুখর পবিবেশে পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে কেক কেটে নিজের ষাটতম জন্মদিন পালন করেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। এ সময় প্রচুর আতশবাজি ফোঁটানো হয়। নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শামীম ওসমান এই আয়োজনের জন্য পরিবারসহ উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং নিজের জন্য দোয়া চান। সবার কাছে দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যেও।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com