সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় আনা এলিট ফোর্স র্যাবের অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও চলমান আভিযানিক কর্মকান্ড। প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং সন্ত্রাসী প্রতিরোধে এলিট ফোর্স র্যাবের বিশেষ অভিযানসমূহ দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী, আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সদস্য গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাবের ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত আছে। র্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সদস্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে যানবাহন ও যাত্রীদের থেকে টাকা পয়সা, মূল্যবান জিনিপত্র ও গাড়ি ছিনতাই করে থাকে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর আভিযানিক দল বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে গোয়েন্দা নজদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (২৮ ফেব্রæয়ারি) ২০২১ তারিখ বেলা ১১.৫ টায় ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন তেতুলজোড়া এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশীকালে ১। মোঃ আলিফ ইসলাম(৩৮), থানা-কোতয়ালী, জেলা-কুমিল্লা, ২। মোঃ নুরুজ্জামান মোল্লা(৪২), থানা-মেহেন্দীগঞ্জ, জেলা-বরিশাল, ৩। কে এম ডেল্টা রহমান সোহাগ(২৭), থানা- নিউমার্কেট, ঢাকা ও ৪। তাবাসুম তানজিন তৃষা (২৬) এদেরকে ১ টি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগজিন, ২টি চাকু, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ২টি প্রাইভেটকার, ১টি মোটর সাইকেল ও পুলিশের ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধান ও আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সদস্য এবং তারা মাঝে মাঝেই ঢাকা আরিচা মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক থামিয়ে যাত্রীদের নিকট থেকে টাকা পয়সা ও অলংকারসহ দামী জিনিসপত্র কেড়ে নিত। পারিপাশির্^ক অবস্থা বিবেচনা করে অনেক সময়ে প্রাইভেট এবং মোটর সাইকেলও ছিনতাই করত। তারা ঢাকা আরিচা মহাসড়কের চলাচলকারী যানবাহনের মধ্যে ডাকাতির জন্য আগে থেকেই যানবাহন টার্গেটেড করত এবং সুবিধাজনক স্থানে ঐ যানবাহনটি থামানোর কাজে পুলিশের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ব্যবহার করত বলে স্বীকার করে। এছাড়া গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্য মোঃ আলিফ ইসলাম ও তাবাসুম তানজিন তৃষা উভয় স্বামী-স্ত্রী এবং ডাকাতির মূল পরিকল্পনা সাধারণত তাদের বাসায় সম্পন্ন হতো। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সাভার থানায় নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রীয়াধীন।
আসামীদের নিকট হতে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ কর্তৃক এ ডাকাত দলের পলাতক সদস্যদের গ্রেফতারে তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।