আড়াইহাজার সংবাদদাতা:
আড়াইহাজারে বেড়েই চলেছে আর্সেনিকের ঘনত্ব। গবেষণা বলছে, ঢাকার মানুষের তৃষ্ণা মিটাতে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। জানা গেছে, ১৫০-৫০০ ফুট গভীরে কাদামাটির স্তরের নিচের জলাধার সাধারণত নিরাপদ। কিন্তু একটি গবেষণা জানাচ্ছে, ঢাকায় পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় এখানকার গভীর নলকূপগুলো আশপাশের এলাকার জলাধারের পানিতে টান দিচ্ছে। তাতে এসব এলাকায় কাদামাটির স্তর থেকে সক্রিয় কার্বন বেরিয়ে আসছে। জলাধারের বালুর আর্সেনিক সহজে বেরিয়ে আসতে পারছে। কলাম্বিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার’-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান নেচার কমিউনিকেশনস ২০১৯ সালের মে মাসে এই গবেষকদের একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় গবেষকরা পানি নিয়ে কাজ করছেন প্রায় এক যুগ ধরে। এখানকার একটি গ্রামে ২০০৫ সালে বসানো একটি নলকূপের পানিতে মাত্র ১৮ মাসের মাথায় আর্সেনিকের ঘনত্ব অনেক বেড়ে যেতে দেখা যায়। শুরুতে ৬০ মিটার গভীর ওই নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের ঘনত্ব ছিল লিটারে ১০ মাইক্রোগ্রামের নিচে। ২০০৫ সালে তা বেড়ে লিটারে ৬০ মাইক্রোগ্রামে পৌঁছায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও) বলছে, খাওয়ার পানিতে লিটারপ্রতি ১০ মাইক্রোগ্রামের বেশি আর্সেনিক থাকলে তা মোটা দাগে আর্সেনিক দূষিত। গবেষকরা নিশ্চিত হন, ঢাকার ভূগর্ভস্থ জলাধারগুলো আশপাশের এলাকার জলাধার থেকেও পানি টানছে। এতে আড়াইহাজারের মতো এলাকার জলাধার ও ভূ-অভ্যন্তরের কাদামাটির স্তরের ওপর চাপ পড়ছে। ফলে বেড়ে যাচ্ছে আর্সেনিক দূষণের ঝুঁকি।
গবেষকরা বলেন, কোনো অঞ্চলে গভীর নলকূপ বসালে এবং কী হারে পানি তুললে বেশি সুফল দেবে, তার একটি মডেল দরকার। দরকার কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।