Logo
HEL [tta_listen_btn]

আড়াইহাজার বিএনপিতে আজাদের কমিটি বাণিজ্য

আড়াইহাজার বিএনপিতে আজাদের কমিটি বাণিজ্য

আড়াইহাজার সংবাদদাতা:
আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা একে একে নজরুল ইসলাম আজাদের বলয় ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। সীমাহীন কমিটি বাণিজ্য আর নেতাকর্মীদের কথা দিয়ে কথা না রাখায় আড়াইহাজার বিএনপির নেতাকর্মীদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। আর এ কারনেই আজাদের পাশ থেকে সরে যেতে শুরু করেছেন তারা।আড়াইহাজার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর দল ক্ষমতায় না থাকার কারনে সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের অবস্থা খুবই নাজুক। তাছাড়া সরকারী দল ও পুলিশের হামলা মামলায় রীতিমতো দিশেহারা অবস্থা তাদের। নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। এখানকার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাতো ঠিকমতো বাড়িঘরেই থাকতে পারতেন না। অবশ্য গত প্রায় এক বছর হলো দৃশ্যপট কিছুটা পাল্টেছে। এখন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলা তেমন একটা না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন তারা। কিন্তু এ সুযোগে কিছু বিএনপি নেতা নিরিহ নেতাকর্মীদের ফাঁদে ফেলে কমিটি বানিজ্যে মেতে উঠেছেন। তাদেরই একজন আড়াইহাজারের নজরুল ইসলাম আজাদ। নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোটো ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলী রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে প্রভাব বিস্তার করে রাখা নজরুল ইসলাম আজাদ রীতিমতো কমিটির দোকান খুলে বসেছেন। বিএনপি বা কোন অঙ্গ সংগঠনের কমিটি গঠনের প্রসঙ্গ উঠলেই নিজের দরবারে আসর বসান আজাদ আর সেখানে চলে টাকার খেলামেলা। তবে বেশীরভাগ সময়েই টাকা নিয়েও কমিটি দিতে ব্যর্থ হন আজাদ আর কমিটির জন্যে নেয়া টাকাও আর ফেরত দেন না। ফলে নেতাকর্মীরাও তার পিছু ছাড়তে শুরু করেন। গত এক বছরে আজাদের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাসহ বিপুল সংখ্যক কর্মী আজাদ বলয় ছেড়ে গেছেন, ছাড়ার পথে রয়েছেন আরো কয়েকজন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন অনু ও তার স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেীন আকতার দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন নজরুল ইসলাম আজাদ বলয়ে কিন্তু স্থানীয় নির্বাচনে মনোয়ন আর কমিটির নাম করে এ দম্পতির কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আজাদ। সবকিছু বুঝতে পেরে তারা সরে আসেন আজাদের পাশ থেকে। এরপর আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবুও ছেড়েছেনে আজাদের সঙ্গ। এখন আর আজাদের সাথে দেখা মিলছে না হাবুর। সেই সাথে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জুয়েল আহমেদও রয়েছেন ছেড়ে যাওয়ার পাইপলাইনে। থানা বিএনপিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে ইতিমধ্যেই আজাদের পিছনে বড় অংকের খরচ করে ফেলেছেন জুয়েল। কথামতো থানা বিএনপিতে কতৃত্ব না পেলে তিনিও আজাদ বলয় ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com