Logo
HEL [tta_listen_btn]

উগ্র মৌলবাদী ওবামপন্থীরা জোট বেঁধেছে -খোকন সাহা

উগ্র মৌলবাদী ওবামপন্থীরা জোট বেঁধেছে -খোকন সাহা

নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেছেন, আমার বামপন্থী বন্ধুরা উগ্র মৌলবাদীদের সাথে জোট বেঁধেছেন। কিন্তু এটা কীকরে সম্ভব! তিনি বলেন, আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আসবেন এটাই স্বাভাবিক। এটাই রাজনীতির শিষ্ঠাচার। প্রধানমন্ত্রী ভারত ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতিকে নিমন্ত্রণ করেছেন। তারা বাংলাদেশে আসবেন ও আনন্দ অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন। আজকে কি হলো, আমার বামপন্থী বন্ধুরা ও উগ্র মৌলবাদীরা একাকার হয়ে গেলেন। কিভাবে কি কারণে নরেন্দ্র মোদীকে আসতে বাধা দেয়া যায়, দেশকে অস্থীতিশীল করা যায় সেই চেষ্টায় লিপ্ত হলেন। তাদের আন্দোলনের উদ্দেশ্যটা কি?’
২৪ মার্চ (বুধবার) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা। সেখানে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটির আয়োজনে ১৯৭১ সালে পাক বাহিনী কর্তৃক গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়।খোকন সাহা সেখানে বলেন, তাদের দুঃখ একটাই, কেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রিয় বন্ধু ইমরান খানকে দাওয়াত দেয়া হলো না? পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে যদি দাওয়াত দেই তবে আমাদের আয়োজনটা কলূষিত হয়ে যাবে। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, শ্রদ্ধা জানাই সব মুক্তিযোদ্ধাদের। ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ইন্দিরা গান্ধী পাশে ছিলেন। তাদের সহায়তায় আমরা বাংলাদেশকে অত্যন্ত দ্রুত শত্রুমুক্ত করতে পেরেছিলাম। আমি বলতে চাই, ইতিহাস জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় নারায়ণগঞ্জের কিংবদন্তী নেতা একেএম শামুজ্জোহা সাহেব ভারতে গিয়েছিলেন। ভারতে মুজিবনগর সরকারের বিকেল নেতা ছিলেন। ওই সময় ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম ছিলেন তার বোনের জামাই। তার পুত্র সন্তান অপুষ্টিতে ভারতে মৃত্যুবরণ করেন। আমার নেতা পারতেন মুজিবনগর সরকারের টাকা দিয়ে তার চিকিৎসা করতে। জোহা সাহেব এত সৎ ছিলেন। আপনাদের নেতা শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান ও নাসিম ওসমানের বাবা এত বড় একটা নেতা ছিলেন। আজকে আমরা বলতে চাই, সুনামগঞ্জের শাল্লায় যে অপ্রীতিকর ঘটনা কারা ঘটিয়েছে? উগ্র মৌলবাদীরা, তাদের উস্কে দিয়েছে এ দেশের বামপন্থীরা। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন করার জন্য তাতী লীগ অনুমতি চেয়েছিলো। মেয়র তাদের অনুমতি দিলেন না, দিলেন জোনায়েদ সাকিদের। তারা শহীদ মিনারে গত শুক্রবারে নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করলেন। শহীদদেরকে গালিগালাজ করলেন, ভারতকে গালিগালাজ করলেন। এবং নরেন্দ্র মোদী আসছে এজন্য কঠোর সমালোচনা করলেন। আমরা রাজপথে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটলাম। আমার তো প্রশ্ন জাগে, যারা শহীদ মিনারে জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকী পালন করতে দেয় না, তারা কি আওয়ামী লীগ করে? আমি যতোদিন বেচে থাকবো, এই কষ্টটা আমার বুকে ব্যথা হয়ে থাকবে। আমরা গণহত্যা দিবসকে স্মরণ করছি। পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসবেন। তাকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে। শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন, ৩০ লাখ শহীদদের জন্য দোয়া করবেন। বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া করবেন। তার সহকর্মী শামসুজ্জোহার জন্য দোয়া করবেন। আমাদের স্বাধীনতার সময় যারা যুদ্ধ করেছেন তাদের জন্য দোয়া করবেন, মিত্র বাহিনীর জন্য দোয়া করবেন।’ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ সাধারণ সম্পাদক শিপন কুমার শিখন, বাংলাদেশ পূজা আয়োজন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি অরূন দাস, এনসিসি ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শফিউদ্দিন প্রধান, মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন, সচেতন নাগরিক কমিটি সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার আতিকুজ্জামান, আসাদুজ্জামান খোকন, মনিরুজ্জামান খোকনসহ অনেকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com