ফতুল্লাসংবাদদাতা:
বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের গ্রাহকদের ভ্রাম্যমাণ বিদ্যুৎসেবা প্রদান করছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। বুধবার (২৪ মার্চ) সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সদর উপজেলা র ফতুল্লা থানার আলীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্যাম্প বসিয়ে এই সেবা প্রদান করা হয়। মোবাইল ফোনে বার্তা পেয়ে এই সেবা পেতে উৎসাহের সাথে ক্যাম্পে আসছেন গ্রাহকরা। “শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ”- এই শ্লোগান নিয়ে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন অন্তত পাঁচ শতাধিক গ্রাহককে এই ভ্রাম্যমান সেবা দিচ্ছে ডিপিডিসি। এই সেবার আওতায় অনলাইনে নতুন সংযোগ ও লোড বৃদ্ধি/হ্রাস, অনলাইনে ট্যারিফ, মিটার ও নাম পরিবর্তন, বিদ্যুৎ বিল সংশোধন, পেমেন্ট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান, প্রি-পেইড মিটারের ভেন্ডিং ও অন্যান্য সমস্যা সমাধান, বিল প্রদানের ছাড়পত্র, তাৎক্ষণিক অভিযোগ গ্রহণ ও সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়। ডিপিডিসি’র ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের সঙ্গে টেকনিক্যাল টিম, প্রকৌশলী এবং চারটি মোটর সাইকেল এই সেবা কার্যক্রমের সাথে নিয়োজিত রয়েছে। গ্রাহকরা আবেদন করার পর কর্মকর্তারা তাদের চাহিদাপত্র তৈরি করে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। পরে গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার স্থাপন করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনারোধে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা ও অনলাইনে গ্রাহক সেবার বিষয়টিও তুলে ধরা হচ্ছে। ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান জানান, ডিপিডিসির নর্থ, সাউথ এবং সেন্ট্রাল এই তিনটি বিতরণ বিভাগের মোট ৩৬টি এনওসিএস অফিস এই কার্যক্রমের সাথে যুক্ত রয়েছে। প্রতিটি এনওসিএস ১টি করে ভ্রাম্যমাণ সেবাকেন্দ্র পিকআপে করে নির্দিষ্ট এলাকায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। ডিপিডিসির নিজস্ব ওয়েবসাইটে ভ্রাম্যমাণ এই সেবার স্থান ও তারিখ সম্পর্কে গ্রাহকরা বিস্তারিত জানতে পারবেন। গত ১৮ মার্চ রাজধানীর ৩৬টি জোনসহ নারায়ণগঞ্জে এই সেবা কার্যক্রম শুরু হয়। ১ এপ্রিল পর্যন্ত ডিপিডিসি’র আওতাভুক্ত বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার ব্যতীত ১২ দিন এই সেবা প্রদান করা হবে। তবে প্রয়োজন সাপেক্ষে সময় আরো বাড়ানো হতে পারে। মহামারি করোনাকালীন সময়ে হাতের নাগালে এই সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন গ্রাহকরা। আর্থিক সাশ্রয় এবং হয়রানি ছাড়া নিজ এলাকায় স্বল্প সময়ে সেবা পাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা সামধানের ব্যবস্থা পেয়ে স্বস্তি প্রকাশসহ ডিপিডিসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক এক নারী সেবাগ্রহণকারী জানান, নিয়মিত সময়ে তিনি দুইটি মিটার পেতে দালালসহ বিভিন্ন টেবিলে তাকে চল্লিশ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। অথচ ভ্রাম্যমান ক্যাম্পে মাত্র দুইহাজার আটশ’টাকায় দুইটি মিটার পাওয়া যাচ্ছে। আরেকজন গ্রাহক জানান, বিদ্যুৎ অফিসে যে কোন সেবা নিতে গেলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কালক্ষেপনসহ দালাল চক্রের মাধ্যমে নানাভাবে হয়রানি হতে হয়। ভ্রম্যামান সেবা কার্যক্রম চালু হওয়ায় এই হয়রানি থেকে সাময়িক রেহাই পাওয়া যাচ্ছে। হয়রানি বন্ধে স্থায়ীভাবে এই সেবা কার্যক্রমের দাবি করেন গ্রাহকরা।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।