সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে মাদক বিরোধী অভিযানে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব নিয়মিত আভিযানিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদকের চোরাচালান, চোরাকারবারী, চোরাচালানের রুট, মাদকস্পট, মাদকদ্রব্য মজুদকারী ও বাজারজাতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাচ্ছে। র্যাব-২ সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবদান রেখে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৪ মার্চ)দুপুর আড়াইটায় র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ১ টি পরিবহন বাস (গ্রামীন ট্রাভেলস এর এসিবাস) যোগে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী পরষ্পর যোগসাজসে নিষিদ্ধ হেরোইন নিয়ে সীমান্ত এলাকা হতে রাজধানী ঢাকায় বিক্রয়েরউদ্দেশ্যে আসছে। প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র্যাবের আভিযানিক দল সাড়ে ৩ টায় রাজধানীর দারুসসালাম থানাধীন দারুসসালাম রোড এশিয়া সিনেমা হল ভবন এর সামনে পাকা রাস্তার উপর চেক পোস্ট স্থাপন করে। অতঃপর ৩টা ৪৫ মিনিটে বাসটি উক্ত স্থানে পৌঁছালে বাসটি সন্দেহ হলে থামার জন্য সংকেত দিলে গাড়িটি চেক পোস্টের সামনে রাস্তার পাশে থামিয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে বাস চালক মোঃ মাসুদ করিম(৩৮), পিতা মোঃ মনিরুল ইসলামে কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে হেরোইনের চালান সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে গাড়িতে হেরোইন আছে বলে স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্য মতে গাড়িতে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৪২০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়, যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ৪৫ লাখ টাকা। প্রাথমিক অনুসন্ধান ও আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,সে দীর্ঘ দিন ধরে পরিবহন চালকের ছদ্মবেশে দেশের সীমান্ত এলাকা হতে মাদক বহন করে নিয়ে আসে এবং তা রাজধানীর বিভিন্ন মাদক কারবারীদের নিকট হস্তান্তর করে। তাদের অন্যান্য সহযোগীরা অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে হেরোইন দেশে নিয়ে আসে এবং আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে হেরোইন পৌঁছানোর জন্য পরিবহন বাস ব্যবহারের কৌশল অবলম্বন করে থাকে বলে জানায়। গ্রেফতারকৃতদের থেকে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাচাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখবে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।