নিজস্ব সংবাদদাতা:
ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোদী সফরবিরোধী আন্দোলনে ক্ষমতাসীদন দলের নেতা-কর্মীদের হামলা ও পুলিশের গুলিতে হতাহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। শনিবার (২৭ মার্চ) বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি ইলিয়াস জামানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ফারহানা মুনার সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রিচার্ড, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ইউশা ইসলাম আঞ্চলিক কর্মী-সংগঠকরা। এছাড়াও সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নেতা জাহাঙ্গীর আলম বাবু এবং মামুন হোসেন, প্রতিবেশ আন্দোলনের সংগঠক ওবায়দুর রহমান আদনান। বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্রনেতা মশিউর রহমান রিচার্ড বলেন, ‘কাটাতারে ফেলানির লাশ ঝুলিয়ে, তিস্তার পানি বন্টন অমিমাংসিত রেখে, বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে সুন্দরবন ধ্বংসের পায়তারা করে কোনো বন্ধুত্ব হয়না, হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার জন্যে ভারতের সাধারণ জনতার প্রতি আমরা বাংলাদেশের মানুষ কৃতজ্ঞ। কিন্তু ভারত সরকারের আগ্রাসী নীতিকে আমরা প্রত্যাখান করি। বন্ধুত্বের নামে বাংলাদেশে যে নতজানু পররাষ্ট্র নীতি কায়েম করা হয়েছে সেই নীতিকে আমরা বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাখান করি। সা¤প্রদায়িক-দাঙ্গাবাজ মোদী বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্রসহ সাধারণ জনগণের ক্ষোভ ইতোমধ্যেই সকলের সামনে দৃশ্যমান হয়েছে। এই ক্ষোভকে দমনের জন্য এই সরকার বেছে নিয়েছে লাঠি-গুলিকে।’ সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রনেতা ইলিয়াস জামান বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জনগণের অনুভূতির সাথে বাংলাদেশ সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। গতকাল ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে পুলিশ ও সরকারি দলের হামলায় অসংখ্য মানুষকে আহত করে, চট্টগ্রামের হাটহাজারি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলা করে ৫ জনকে হত্যা করে বাংলাদেশে নতুন এক কলঙ্কের অধ্যায় রচনা করেছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। আমরা এইসকল হামলা ও হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাই।’
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।