নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। গত সাত দিনে জেলায় ৫৪৮ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারিভাবে ১৮টি নির্দেশনা মানার বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নির্দেশনা হচ্ছে, ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। তবে মাস্ক পরিধানে অনীহা রয়েছে সর্বসাধারণের। এদিকে বুধবার (৩১ মার্চ) সড়কে ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সচেতন করতে দেখা গেছে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিককে। তিনি পথচারীদের মাস্ক পরিধানসহ করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনাগুলো মানার জন্য তাগিদ দেন।সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে মাইক হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ইউএনও নাহিদা বারিক। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কের শিবু মার্কেট এলাকায় মাইক হাতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘মাস্ক পরা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। অনেকেই মাস্ক পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এটা উচিত নয়। মুখে মাস্ক পরুন, বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোন, নিজে বাঁচুন এবং অপরকে বাঁচান।’ একই সাথে গণপরিবহনে যাত্রীদের মাস্ক পরার বিষয়ে সচেতন করেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন চালানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন চালক ও চালকের সহযোগীদের। নির্দেশনার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী বা ভাড়া নেওয়ার ব্যাপারে নিষেধ করেন। এ সময় মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া ব্যক্তিদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন নাহিদা বারিক। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, জেলা করোনা ফোকাল পারসন ও সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক শাহ্জাহান হালদার প্রমুখ। শুধু সড়কে নয় পোশাক কারখানাগুলোতেও গিয়েছেন তারা। পোশাক শ্রমিক ও মালিকদের করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন সদর ইউএনও। ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’স্লোগানকে সামনে রেখে করোনার সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরিধান ও বার বার সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন ডা. জাহিদুল ইসলাম। এছাড়া বিভিন্ন গণপরিবহন, পোশাক কারখানা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের সামনে এ ধরনের নির্দেশনামূলক পোস্টার সাঁটানো হয়েছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।