নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দুই কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন ও জিএম সাদরিল। এরমধ্যে সাদরিল নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের ছেলে। ইকবাল হোসেন গিয়াসউদ্দিন অনুসারি বিএনপির কর্মী। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদে এই দুই কাউন্সিলর কম করে হলেও ত্রিশটিরও অধিক মামলার আসামী হয়েছেন। প্রতিটি মামলার বাদীই ছিলেন পুলিশ। মাসের প্রায় অর্ধেক সময়ই আদালতের বারান্দায় দৌঁড়াতে হয় তাদের। বিএনপি সমর্থক এই দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সর্বশেষ হেফাজতে ইসলামীর তান্ডবের ঘটনায় দায়ের করা নাশকতার মামলা হয়েছে। ৩০ মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে, তারা দুজনই দাবি করেছেন, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরও তাদেরকে মামলার আসামী করা হয়েছে। অতীতেও অনেকগুলো নাশকতার মামলা দিয়েছিল পুলিশ। সেগুলোও ছিল মিথ্যা। কেবলমাত্র বিএনপির রাজনীতি করার কারণেই একের পর এক মামলার আসামী তাদের হতে হচ্ছে বলে দাবি করেন ইকবাল ও সাদরিল। এদিকে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে একের পর এক মামলায় এই দুই কাউন্সিলরকে আসামী করা হলেও খোদ বিএনপি থেকে তাদেরকে মূল্যায়ন করা হয় না বলে অভিযোগ ও আক্ষেপ করেছেন তাদের অনুগামী বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গিয়াসউদ্দিন অনুসারি আবুল হোসেন, মাহবুব হোসেন, নাজমুল হোসেন, খায়রুল আলমসহ একাধিক বিএনপির নেতাকর্মী আক্ষেপ নিয়ে বলেন, প্রতিমাসের অর্ধেক সময়ই তাদের কেটে যায় হাজিরা দিয়ে। নানা সময় অহেতুক মামলার আসামী হওয়াতে তাদের পলাতকও থাকতে হয়। অথচ অনেকেই আছেন ক্ষমতাসীনদের সাথে আঁতাত করে ব্যবসা বাণিজ্যে করে যাচ্ছেন, আবার মামলার আসামীও হচ্ছেন না। সেই তারাই আবার বিএনপির পদপদবী পাচ্ছেন। তারা আরও বলেন, যারা দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। যাদের ত্যাগ রয়েছে এই দলটির জন্য। এমন ব্যক্তিদেরকে নেতৃত্বে আনা দরকার। অন্যথায় কমিটি গঠন হলেও সে কমিটি দলের স্বার্থে নয় কাজ করবে ক্ষমতাসীনদের বি-টিম হয়ে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।