নিজস্ব সংবাদদাতা:
বিকেল হলেই তরুণ-তরুণীরা জোড়ায় জোড়ায় ভিড় জমাতো খানপুর ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের সামনে রাস্তার বৈকালিক আড্ডায়। সেখানে বিভিন্ন খাবারের দোকানে ওদের পছন্দনীয় খাবার সামগ্রীর সমাহার থাকতো। ফুচকা, পানিপুরি, চিতই পিঠাসহ নানা ধরণের ফাস্টফুডের লোভনীয় আইটেম তরুণ-তরুণীদের আকর্ষণ করতো। কিন্তু বৈশি^ক মহামারিকরোনার ছোবলে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। দ্বিতীয় দফা করোনার ঢেউ আঘাত হানায় নারায়ণগঞ্জবাসী হতবিহŸল হয়ে পড়েছেন। স্বাস্থবিধি মেনে চলার নির্দেশনা আসার পর শহরের অনেক কিছুই পালটে গেছে।ফলে ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের সামনে তরুণ-তরুণীদের বৈকালিক আড্ডাস্থল ‘সকল স্ট্রিট ফুডের দোকান’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। করোনার উচ্চ সংক্রমণ কমাতে শুক্রবার (২ এপ্রিল) জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত দোকানগুলো তুলে দেয়। এসময় তাদের মাইকিং এর মাধ্যমে সচেতন করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাইন বিল্লাহ’র নির্দেশনায় অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুল জব্বার। জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের গেটের সামনের সকল স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলো তুলে দেওয়া হয় এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। এসময় তাদের মাইকিং এর মাধ্যমে সচেতন করা হয়। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের আশেপাশের এ দোকানগুলো তরুণ-তরুণীদের বৈকালিক আড্ডাস্থল হওয়ায়, দোকানগুলো বন্ধ হওয়ার কারণে করোনার উচ্চ সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করবে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।