Logo

হেফাজত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মাওলানা আউয়াল কঠিন আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন ,সাংবাদিকদের হেফাজতের পক্ষে লিখার অনুরোধ

হেফাজত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মাওলানা আউয়াল কঠিন আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন ,সাংবাদিকদের হেফাজতের পক্ষে লিখার অনুরোধ

নিজস্ব সংবাদদাতা:
জেলা হেফাজত ইসলামের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আউয়াল হেফাজত নেতাকর্মীদের কঠিন আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেছেন,বাংলার জমিনে যে রক্তের ফোটা ফেলা হয়েছে এর প্রতিটিফোটার বিনিময়ে এক একটি হেফাজতের কর্মী তৈরি হবে। বাংলার জমিনে আমরা দ্বীনকে কায়েম করবো ইনশাআল্লাহ। শুক্রবার (২ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর ডিআইটি মসজিদের সামনে সমাবেশ থেকে তিনি এ কথা বলেন।সমাবেশে হেফাজতের জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আব্দুল আউয়াল নিজেই। মাওলানা আব্দুল আউয়াল তার বক্তব্যে বলেন, হেফাজতের আন্দোলনে যারা মারা গেছে বা আহত হয়েছে। তারা শাহাদাত বরণ করেছেন। তাই সরকারের প্রতি অনুরোধ করবো, আহত ও নিহতদের সরকারের পক্ষ থেকে সর্ব উন্নত ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেশের জনগণের অন্তরকে শান্তি করবেন। তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের উপরে আপনারা নজর দিবেন। তিনি আরও বলেন, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের কেউই কোন জ্বালাও-পোড়াও-ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নন। প্রয়োজনে আপনারা ভিডিও ফুটেজ দেখে নিন, অকারণে আমাদের ওপর দোষ চাপাবেন না। হেফাজতের কর্মীদের অন্যায় ভাবে আপনারা হয়রানি করবেন না। যদি করেন, আমার আল্লাহ আপনাদেরকে ছেড়ে দিবে না। আগামী দিনে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যাবো। হেফাজতের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এ সময় মোনাজাত থেকে বলা হয়, আল্লাহ প্রশাসনিক ভাইকে হেদায়েত দান করো, তাদের হেফাজত ইসলামের পক্ষে কাজ করার তৌফিক দাও, সাংবাদিক ভাইদের কলমকে হেফাজত ইসলামের পক্ষে লেখার মতো তৌফিক দাও। নারায়ণগঞ্জ মহনগর হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের জেলা সহ-সভাপতি আতিকুর ইসলাম নান্নু মুন্সী, মহানগর হেফাজত ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মুফতি হারুন অর রশিদসহ আরও অনেকে। এদিকে হেফাজতের কর্মসূচিকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ডিআইটি এলাকায় নেয়া হয়েছিল ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জুমার নামাজের আগে থেকেই ডিআইটি এলাকায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোরদার নিরাপত্তা দেখা যায়। ফেরদাউস যা বলেন মহানগর হেফাজতের আমির মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান সমাবেশে বক্তৃতাকারে বলেন, হরতালের পর দিন বাংলাদেশের সমস্ত পত্রিকায় তাকিয়ে দেখেছি, হেফাজতের তান্ডব। কিন্তু প্রশ্ন রাখতে চাই, বাইতুল মোকারমের বাইরে ওরা কারা ছিল? ওরা বাংলাদেশের কোন বাহিনীর সদস্য। যাদের হাতে অবৈধ অস্ত্র আর রামদা ছিল। তার ভাষ্য, ওরা ছাত্রলীগের গুন্ডা, যুবলীগের গুন্ডা। তোমাদের গুন্ডামী বাংলাদেশের মানুষ বহু দেখেছে। আর সহ্য করবে না।
মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, ‘কি দোষ ছিল আমার ভাইয়ের, রক্তে রঞ্জিত হয়েছে রাজপথ। যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। সেই মুদির দালালদেরকে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করতে হবে। বি-বাড়িয়ার সংসদ সদস্য, তুমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছো। তুমি জানো না হেফাজত সম্পর্কে ও হেফাজতের শক্তি সর্ম্পকে।
করোনাকে ড্যামকেয়ার
চলছে করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ, প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সভা সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে; এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলাম। পূর্বঘোষণা অনুসারে শুক্রবার (২ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর ডিআইটি মসজিদের সামনে সমাবেশ শুরু করেন।স্বাস্থ্যবিধি মেনে সমাবেশের কথা বলা হলেও মুসুল্লিদের প্রচন্ড ভিড় ছিল। প্রায় পৌনে ১ ঘন্টা সমাবেশে ১ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নিতে দেখা গেছে। যাদের অনেকেরই মুখে ছিল না মাস্ক, মানা হয়নি সামাজিক দূরত্বও। নারায়ণগঞ্জে ১ এপ্রিল গত ৯ মাসের দৈনিক সংক্রমন পিছনে ফেলে উচ্চ সংক্রমণ হয় ১২৯ জন। ২ এপ্রিলও ১২৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমন হয়। মৃত্যু হয় ১ জনের। এ অবস্থায় সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি সকল ধরণের সভা বা সমাবেশ বন্ধের আদেশ দেন প্রশাসন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com