সোনারগাঁ সংবাদদাতা:
হেফাজতের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের স্বস্ত্রীক হেনস্থা করার অভিযোগে নিয়ে রয়েল রিসোর্টের ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৪ এপ্রিল) সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে মামুনুলের পক্ষে অভিযোগ দায়ের করেছেন হেফাজত নেতা মুফতি ফয়সাল মাহামুদ হাবিবী। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রির্নোর্টে বিশ্রামের জন্য সস্ত্রীক হোটেলে অবস্থান গ্রহণ করেন হেফাজতে ইসলাম এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক। তিনি হোসেলের সম্পূর্ণ নিয়ম কানুন মেনে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু হোটেল মালিক সাইদুর রহমান এর ম্যানেজার ও কর্মচারীবৃন্দ আল্লামা মামুনুল হককে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হন এবং এলাকার কতিপয় সন্ত্রাসী সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম নান্নু ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ মোঃ সোহাগ রনির নেতৃত্বে কতিপয় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নিয়ে আল্লামা মামুনুল হক এর উপর হামলা চালায়। তাহার জামার কলার ছিড়ে ফেলে, দাড়ি ধরে টান দেয় এবং শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে অশ্লীল ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাহার গাড়ির চাবি ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ছাত্র ও যুবলীগ নেতার,বাড়ি ভাংচুর: কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ঘেরাওয়ের জেরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনির বাসভবনে হামলা–ভাঙচুর করা হয়েছে। শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতে হেফাহতের ওই হেফাজত নেতার অনুসারীরা হামলা–ভাঙচুর চালান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের অবরুদ্ধের খবর ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যার পর কয়েকশ হেফাজত নেতার অনুসারী সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টটির সামনে এসে জড়ো হয়। এ সময় ওই রিসোর্টে ব্যাপক ভাংচুর চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে বিদায় জানিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনির বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরে বিক্ষুদ্ধ হেফাজতকর্মীরা পুনরায় রয়েল রিসোর্টে হামলা করতে গেলে পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ও র্যাব ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এদিকে, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহিদ বাদল, সোনারগাঁ আসনের সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত ও আওয়ামী লীগের নেতা আবু জাফর চৌধুরী বিরুসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা পরিদর্শন করে নিন্দা প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনি বলেন, ‘ভাঙচুরের ঘটনায় আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এদিকে, সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কারো কোন অভিযোগ হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রিসোর্টের একটি কক্ষে নারীসহ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ঘেরাওয়ের জেরে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসভবন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলাভাঙচুর করা হয়েছে। শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতে হেফাহতের ওই হেফাজত নেতার অনুসারীরা হামলা–ভাঙচুর চালান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের অবরুদ্ধের খবর ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যার পর কয়েকশ হেফাজত নেতার অনুসারী সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টটির সামনে এসে জড়ো হয়। এ সময় ওই রিসোর্টে ব্যাপক ভাংচুর চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসগক অবরোধ, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসভবন ও ব্যক্তিগত গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বাড়িতে না থাকলেও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। পরে বিক্ষুদ্ধ হেফাজতকর্মীরা পুনরায় রয়েল রিসোর্টে হামলা করতে গেলে পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ও র্যাব ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এছাড়াও ওই নেতার শ্বশুর বাড়িতেও হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।এদিকে, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহিদ বাদল, সোনারগাঁ আসনের সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত ও আওয়ামী লীগের নেতা আবু জাফর চৌধুরী বিরুসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা পরিদর্শন করে নিন্দা প্রকাশ করেছেন।এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, ‘ভাঙচুরের ঘটনায় আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কারো কোন অভিযোগ হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।