নিজস্ব সংবাদদাতা :
হেফাজতে ইসলামের অর্থ সম্পাদক মুফতি মুনির হোসেন কাশেমী ও নারায়ণগঞ্জের ১১ মাদ্রাসার ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকে ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাদের সকল রকম লেনদেনের তথ্য চেয়ে রোববার (৪ এপ্রিল) চিঠি দিয়েছে ওই সংস্থাটি। চিঠিতে সম্প্রতি মোদির সফরবিরোধী আন্দোলনের পর থেকে কী পরিমাণ লেনদেন হয়েছে তার সুস্পষ্ট তথ্য চাওয়া হয়েছে। মুফতি মুনির হোসেন কাশেমী ২০দলীয় জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনের নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জোটের প্রার্থী ছিলেন। নারায়ণগঞ্জের ১১টি মাদরাসার ব্যাংক হিসাবের লেনদেন তথ্যও জানতে চাওয়া তালিকা হলো- সানারপাড় জামিয়াতুল আবরার হাফিজিয়া মাদরাসা, সিদ্ধিরগঞ্জের মা. হাদুশ শাইখ ইদরীম আল ইসলামী, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলূম, আশরাফিয়া মহিলা মাদরাসা, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া নূরুল কোরআন মাদরাসা, আবদুল আলী দারুস সালাম হিফজুল কোরআন মাদরাসা, ইফয়জুল উলূম মুহিউচ্ছুন্নাহ আরাবিয়্যাহ, ভুইয়াপাড়া জামিয়া মুহাম্মদীয়া মাদরাসা, জামিয়াতুল ইব্রাহিম মাদরাসা, মারকাজুল তাহরিকে খাতমি নবুওয়াত কারামাতিয়া মাতালাউল উলুম মাদরাসা ও নুরে মদিনা দাখিল মাদরাসা। তালিকার মাদরাসাগুলো সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় অবস্থিত। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলের টকশোতে বলেছেন, ‘হেফাজতের সহিংসতার পর মামলায় সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন ও কাউন্সিলরের নাম এসেছে। এগুলো তদন্ত করে দেখা হবে। আরেকজনের নাম আসেনি যার নাম মনির হোসাইন কাশেমী। সরকারকে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের সে সভাটি হয়েছে কাঠমান্ডু ও থাইল্যান্ডে, সেখানে কাশেমী উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজেও এটা স্বীকার করেছেন।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।