নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ জেলার ৩২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পিইডিপি-৪ প্রকল্প থেকে এ টাকা বরাদ্দ ও ব্যয় মঞ্জুর দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। এসব স্কুলের ভবনগুলোর রুটিন মেইনটেনেন্স করা হবে এ টাকায়। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় প্রতিটি স্কুল এ জন্য ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ পাবে। এ টাকা বরাদ্দ ও ব্যায়ের মঞ্জুরি দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, পিইডিপি-৪ এর আওতায় নারায়ণগঞ্জ সদরের ৫০ স্কুলকে ২০ লাখ, বন্দরের ৪৩ স্কুলকে ১৭ লাখ ২০ হাজার, সোনারগাঁয়ের ৯১ স্কুলকে ৩৬ লাখ ৮০ হাজার, আড়াইহাজারে ৬১ স্কুলকে ২৪ লাখ ৪০ হাজার ও রূপগঞ্জের ৪০ স্কুলকে ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই টাকায় দরজা-জানালার ফিটিংস, কাচ, হাতল, লক, ফ্যানের সুইচ, রেগুলেটর, লাইট, বোর্ড মেরামত ও পুনঃস্থাপন করা যাবে। সাইড ওয়ালের টাইলস মেরামত, ড্রেন পরিষ্কার, বৃষ্টির পানি নির্গমণ পাইপ মেরামত ও স্থাপন করা যাবে। ভবনের দেয়াল, মেঝে, ছাদে বা ভবনের গায়ে জন্ম নেয়া আগাছা অপসারণ করতে হবে। এছাড়া পানির কল মেরামত ও স্থাপন, পানি সরবরাহ লাইন মেরামত-স্থাপন ও পরিষ্কার করতে হবে। বিদ্যালয়ের ওয়াশ বøক পরিষ্কার, টয়লেট মেরামত এবং চাহিদা অনুযায়ী দৈনিক ছোটখাটো মেরামতের কাজও করতে হবে। এছাড়া চাহিদা অনুযায়ী মেরামত কাজ করা যাবে এ টাকা দিয়ে। আদেশে বলা হয়েছে, প্রতিটি ব্যয়ের মোট বিলের জিওবি বাবদ ৬৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ও আরপিএ বাবদ ৩৫ দশমিক ২০ শতাংশ ব্যয় নির্বাহ করতে হবে। কোন অবস্থাতেই বরাদ্দকৃত টাকার অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন বা ব্যয় করা যাবে না। অগ্রিম টাকা তোলা যাবে না। অডিটের জন্য টাকা ব্যয়ের সব বিল ভাউচার সংরক্ষণ করতে হবে। টাকা খরচ করার ৭ দিনের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভ্যাট কর্তন করা যাবে। জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল এ ব্যয়ের মঞ্জুরি দিয়ে জারি করা দৃষ্টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিফ একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। আদেশটি পৃষ্ঠাঙ্কন হিসাব রক্ষণ অফিস গুলোতে পাঠাতে বলা হয়েছে চিফ একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসারকে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।