বন্দর সংবাদদাতা:
করোনাকালিন সময়ে নেত্রীর নির্দেশে সারা বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছে, তখন আমরা যাকে মেয়রের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সে কিন্তু ছিল না। তাঁরা নগরবাসীর সেবা করতে ব্যর্থ হয়েছে কেন? নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডে মাস্ক বিতরণ করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) এ কথা বলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা। তাঁর ভাষ্য, আত্মসমালোচনা করা প্রয়োজন, তাই করছি। নেত্রী বলেছেন, আমরা মাঠে নেমেছি। কোন মানুষ নামলো কি না নামলো, নগরীর প্রধান প্রধান নেতারা নামলো- কি না নামলো। সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমাদের দেখার বিষয়, আমরা মানুষের জন্য কতটুকু কাজ করলাম। খোকন সাহা বলেন, ‘করোনার প্রথম ধাপে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ থেকে শুরু করে সকলে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরাও মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করার জন্য মাঠে নেমে ছিলাম। আমরা আশা করে ছিলাম, যাকে মেয়র বানিয়েছি, সেও মাঠে নামবে। কিন্তু মাঠে দেখা যায়নি। কে আসলো, কে আসলো না। সেটা দেখার বিষয় আমাদের না। আমরা মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। প্রথম ধাপে না খেয়ে কেউ মরেনি। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, দ্বিতীয় ঢেউও যদি এর চেয়ে খারাপ অবস্থায় রূপ নেয়। তারপরেও একটি মানুষ না খেয়ে মারা যাবে না। কারণ, আপনাদের এলাকার এমপি সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান।’ এ সময় বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ বলেন, নেত্রীর নির্দেশে সারা বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা আজকে মাঠে নেমেছে করোনাকালিন সময়ে। কিন্তু কষ্ট লাগে, নগরের অনেক হর্তাকর্তারাই আজকে মাঠে নাই। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এড. দিপু কুমার, বন্দর থানা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু, ধামঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।