নিজস্ব সংবাদদাতা:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় সরকার সারা দেশে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে গত ৪ এপ্রিল। সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে ‘লকডাউন’ শুরু হয়। আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত থাকবে এই ‘লকডাউন’। ‘লকডাউনে’ গণপরিবহন ও শপিংমল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হলেও গত বুধবার শর্তসাপেক্ষে সরকার গণপরিবহনে চলাচলের অনুমোদন দেয়। শুক্রবার ৯ এপ্রিল থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খোলা হয়েছে।এমন অবস্থায় ‘লকডাউন’ এর সময়সীমা বাড়বে কিনা, এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। আজ সেতুমন্ত্রী লকডাউন বাড়ানোর সেই ইঙ্গিতই দিলেন। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।শুক্রবার সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। সেই সঙ্গে বাড়ছে জনগণের অবহেলা ও উদাসীনতা।এমতাবস্থায় সরকার জনস্বার্থে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছে।’এদিকে চলমান এক সপ্তাহের লকডাউনে জনগণের উদাসীন মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয় না বলেও জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী। অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জের বাস্তবতা হলো, ‘লকডাউন’ শুরুর পরেও বিভিন্ন স্থানে পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। সবার মধ্যে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। এমনকি এসব দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্তরাও একরকম নির্বিকার। এ নিয়ে কারও যেন ‘মাথাব্যথা নেই। শহরে ব্যাপকভাবে গণপরিবহন চলার কারণে অনেক রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন। কাঁচাবাজার, মহল্লার দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষের জটলা দেখা যাচ্ছে, সেখানে নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব। এমন কী মাস্কও পরেন না অনেকে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।