বন্দর সংবাদদাতা:
বন্দরে কবরস্থানের গাছ বিক্রি ও পূর্ব শত্রতার জের ধরে দুই পক্ষের দুই দফা রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষে মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর (৪৮)সহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই সময় হামলাকারিরা ২টি বসত ঘর ভাংচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। আহতরা হলো আব্দুর রহিম মিয়া (২২) শান্ত (২১) দেলোয়ার (৪৫) ছগির (২৭) আনোয়ার (৪৫) সিরাজ (৭০) মোকলেছ (৬০)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। গত শুক্রবার বিকেল ৫টায় ও রাত সাড়ে ৮টায় বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের দক্ষিনপাড়া বাইতুল ইজ্জত জামে মসজিদের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহাসহ সঙ্গীয় র্ফোস দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় মনির হোসেন ও মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর মিয়া বাদী হয়ে রোববার দুপুরে বন্দর থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে পৃথক ২টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনায় গোটা এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রত্যেক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কবরস্থানের গাছ বিক্রিকে কেন্দ্র করে কেবা কারা বাজে মন্তব্য লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে। এ নিয়ে গত শুক্রবার বাদ আসর স্থানীয় মুসল্লীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর ও সাখাওয়াত গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। পরে সংবাদ পেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বন্দর প্রেসক্লাবের গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আমরা অভিযোগ দুইটি নিবিড় ভাবে তদন্ত করে দেখছি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।