Logo

ডিএনডিবাসী’র জন্য সুসংবাদ

ডিএনডিবাসী’র জন্য সুসংবাদ

ফতুল্লা সংবাদদাতা:
অবশেষে ডিএনডিবাসী’র জন্য সুসংবাদ বয়ে আনলেন শিমরাইল পাম্প হাউজ কর্তৃপক্ষ। এ বছর পাম্প হাউজে আরো ৭টি নতুন পাম্প বসানো হয়েছে। পুরানো ৪টি পাম্পের সাথে নতুন ৭টি পাম্প যুক্ত হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের ক্ষমতা প্রায় তিন গুণ বেড়ে গেলো।এটা ডিএনডিবাসীর জন্যনিঃসন্দেহে একটা সুসংবাদ। দেখা গেছে, বৃষ্টি না হলেও ডিএনডি বাঁধ এলাকায় বর্ষা মৌসুম আসলেই প্রায় ৬ মাস পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন অলি-গলিতে জলাবদ্ধতা নিয়মে দাঁড়িয়েছে। কোথাও কোথাও থাকার ঘর কিংবা মসজিদেও জমে থাকে দীর্ঘ দিন ধরে ওই পানি। লাখ লাখ মানুষকে ময়লা পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়। তাই বর্ষা আসলেই এ অঞ্চলের মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। তবে, এবার সেই চিন্তার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন শিমরাইল পাম্প হাউজ কর্তৃপক্ষ। শিমরাইল পাম্প হাউজের দায়িত্বে থাকা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আসরাফুজ্জামান জানান, বিগত বছর গুলোতে ৫০০ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন পানির পাম্প দিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হতো। এবছর নতুন করে আরও ১৪০০ কিউসেক পানির পাম্প বসানো হয়েছে। এতে জলাবদ্ধতা থাকবে না বলে আশা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ২৩৩ দশমিক ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার ৫ হাজার ৬৪ হেক্টর আয়তনের জমিতে বাঁধ নির্মাণ করেন পাকিস্তান সরকার। ১৯৬৫ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ১৯৬৮ সালে। বাঁধের ভিতর কংস নদ, পাগলার খাল ও মালখালী খালের মত ৯টি খাল ছিল। ১৯৮৮ সালের বন্যায় যখন সারাদেশ তলিয়ে গিয়ে ছিল, তখনও এই অঞ্চল অনেকটা স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছেন। তাই মানুষ বসতবাড়ি তৈরি করতে এই অঞ্চলকেই বেছে নেয়। এতে মানুষের চাপ বাড়ার সাথে সাথে দখল হতে থাকে খাল গুলো। একই সাথে সেচ মেশিন পুরনো হতে থাকায় বাঁধের ফাঁদে আটকে যায় ডিএনডির মানুষ। ২০১৭ সালে অক্টোবরে ডিএনডির জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য পাম্প হাউস স্থাপন, খাল খনন, কালভার্টসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ৫৫৮ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী। গত বছরে প্রকল্পের কাজ সম্পন্নের জন্য আরও ৭শত ৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে পাম্প স্টেশন-প্লান্ট, খাল উদ্ধার, ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ অনেক কিছু। শিমরাইল ছাড়াও ফতুল্লা, পাগলা, আদমজীনগর ও শ্যামপুরে চলছে আরও ৫টি পাম্পিং প্লান্ট নির্মাণের কাজ। শিমরাইল পাম্প হাউজের দায়িত্বে থাকা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আসরাফুজ্জামান জানান, গত বছরও জলাবদ্ধতা নিরসনে পুরনো ৪টি পাম্পই (৫১২ কিউসেক) ভরসা ছিল। তবে, নতুন করে আরও ৭টি পাম্প (মোট ১৪০০ কিউসেক) বসানো হয়েছে। যে কোন পরিস্থিতিতে জলাবদ্ধতা মোকাবেলা করতে পারবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com