নিজস্ব সংবাদদাতা:
পবিত্র মাহে রমজানে প্রচন্ড দাবদাহ রোজাদারদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। রোজাদার ছাড়াও সাধারণ মানুষ দাবদাহের আঘাত থেকে বাঁচার নানা কসরৎ করছেন। মাথার ওপর থেকে সূর্য তখন কিছুটা পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে। কিন্তু প্রচন্ড আঁচে গা পুড়ে যায় যায় অবস্থা। চলাচল করতে গিয়ে এক ব্যক্তি অনেকটা তৃষ্ণার্ত হয়ে উঠে ছিলেন। কিন্তু পিপাসা বুঝতে পেরে একটি পানির বোতল আনাতে চান পাশের লোকটি। কিন্তু রোজার কাছে সেই ব্যক্তির পিপাসা হার মেনেছে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টার নারায়ণগঞ্জ ২নং রেল গেটের সামনে এই দৃশ্য দেখা যায়। বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মানুষ যতটানা অতিষ্ঠ হয়েছে, তারচেয়েও বেশি অতিষ্ঠ হয়েছে গত কয়েক দিনের টানা দাবদাহে।
গরমের তীব্রতায় ছোটবড় সবার হাঁসফাঁস অবস্থা। বাসা থেকে বের হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই রোদের খরতাপে অসহনীয় অবস্থায় পড়ছেন তাঁরা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকে। করোনায় একতো অস্থির জনজীবন, তার উপরে রোদের তীব্রতা সহ্য করে অনেকেই রিকশা চালাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু সড়কে রিকশা চালক সোলাইমান মিয়া বলেন, ‘গরমে টিকতে পারছি না। তাই আগে সাড়াদিন রিকশা চালালেও এখন অর্ধেক বেলা চালাই।’ গত ২৪ এপ্রিল দুপুর ২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৫ এপ্রিল ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মেহেদী হাসান বলেন, ‘একে প্রচন্ড গরম, তার ওপর রাস্তায় মানুষও ঠাসা। একসময় মনে হয়েছে অজ্ঞান হয়ে যাব। পরে হাতমুখে পানির ঝাপটা দিই। তাতে কিছুটা রক্ষা। বৈশাখের দাবদাহে নারায়ণগঞ্জবাসী একদÐ শান্তি খুঁজেছেন গোসল খানায় কিংবা পুকুরে গিয়ে। রমজান মাস হওয়ায় অনেকে আবার ইফতারের পর এসেও খুঁজেছেন খাবার স্যালাইন।
ক্রেতাদের চাহিদার কারণে ফতুল্লার তক্কার মাঠের একটি টংঘরে চকলেট, বিস্কুটের বয়ামের পাশে ঠাঁই পেয়েছে স্যালাইনের বয়াম।
দোকানদার বলেন, ‘গরম বাড়ার পর থেকে কাস্টমার স্যালাইন খোঁজে। তাই রাখছি। ভালো চলে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।