করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর মাঝেও ম্লান হয়নি যশোরের কেশবপুরে কৃষকের নবান্ন উৎসব
আবুল বাশার যশোর সংবাদদাতা :
সারা বিশ্ব যখন করোনায় থমকে পড়েছে ঠিক তখনই ইরি ধান কাটার মৌসুম এসে পড়েছে। সারাদেশের মতো বাংলাদেশও বাদ পড়েনি করোনাভাইরাস থেকে, বাংলাদেশ এখন করোনার ২য় ঢেউ চলছে, কিন্তু তার মাঝেও ম্লান হয়নি যশোরের কেশবপুরের কৃষকের নবান্ন উৎসব। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এখন ইরি ধান কাটার মৌসুম, তবে অন্যান্য জেলার তুলনায় যশোর জেলায় ইরি ধানের উৎপাদন অনেক বেশি, এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচতে পারলেও পোকার হাত থেকে বাঁচতে পারেনি কৃষকরা।তবে এই পোকা দমণের জন্য ব্যাপক ভুমিকা রেখেছে জেলা কৃষি বিভাগ ও কেশবপুর উপজেলার কৃষি অফিসার গণ যশোরের কেশবপুরের ১১ টি ইউনিয়নের মাঠে কৃষকের স্বপ্নের সোনার ফসল ইরি ধান, সেই ধান কেটে ঘরে ওটাতে ব্যস্ত কৃষকেরা চলতি মৌসুমে লকডাউন পড়ে কৃষকরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে সম্প্রতি একজন কৃষক মোঃ রবিউল ইসলাম, দৈনিক দেশের আলো পত্রিকার যশোর প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন লকডাউন এর মাঝে এখন শ্রমিকরা বাজারে উড়তে না পারার কারণে গ্রাম থেকে শ্রমিক নিতে হচ্ছে তাদের। তাই যেমন শ্রমিক খুঁজতে কষ্ট হচ্ছে ঠিক তেমনই টাকা দিতেও অনেক কষ্ট হচ্ছে , কারণ আগের শ্রমিক কিনতে হতো ৫০০ টাকায় এখন শ্রমিক কিনতে হচ্ছে ৮০০টাকায় এর মূল কারণ হলো এই করোনাভাইরাস করোনাভাইরাস এর কারণে যদি লকডাউন না পড়তো তাহলে তারা অতি সহজে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারতো কিন্তু শত কষ্টের মাঝেও তারা খুশি, কারণ এটা তাদের নবান্ন উৎসব ।