রূপগঞ্জসংবাদদাতা:
লকডাউনকে উপেক্ষা করে রূপগঞ্জে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ক্রেতা সাধারণ। ফলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।দেইখ্যা লন, বাইচ্যা লন; যা লন ২শ’,আবার কোনটা ৩শ’। এমন হাক ডাকে সরগরম রূপগঞ্জের কাপড়ের হাটবাজারের সামনে থাকা ফুটপাত। আবার মার্কেটের ভেতরও ভিন্ন চিত্র। পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে করোনা মহামারী পরিস্থিতিতেও জমে ওঠেছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বিভিন্ন কাপড়ের মার্কেট। সরকারিভাবে ৩য় ধাপে ৫ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করলেও স্বাস্থ্যবিধির উপেক্ষা চিত্র সর্বত্র। বেশির ভাগ ক্রেতা বিক্রেতার মুখে দেখা মেলেনি মাস্কের ব্যবহার। এমনকি মার্কেটের প্রবেশ পথে নেই হাত ধোয়া কিংবা জীবানুনাশক স্প্রেএর ব্যবস্থা। নেই প্রশাসনের তৎপরতাও। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও ঈদের কেনাকাটার উপচে পড়া ভির দেখা গেছে এ অঞ্চলে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দেশের বৃহত্তম পাইকারী মার্কেট গাউছিয়া মার্কেটের ভবনের উপরে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পক্ষ থেকে করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য মাইকে ঘোষণা দিচ্ছেন। বাস্তবে ওই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে হাজারো ক্রেতা বিক্রেতারা আগের মতোই কেনা কাটা করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে নি¤œ আয়ের লোকজন যখন বিপাকে সেই সময়ে এখানকার ব্যবসায়ীরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চড়া দামে কাপড় বিক্রি করছেন সিন্ডিকেট করে। এতে ক্রেতারা কমদামের কাপড় বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। একই চিত্র তারাবো পৌরসভার রূপসী, বরপা, মুড়াপাড়া বাজার, কাঞ্চন পৌর বাজার ভোলাবো আতলাপুর বাজার, ইছাপুরা ও বেলদী বাজারের। এসব কাপড়ের দোকানে নি¤œ মানের কাপড়কে ইন্ডিয়ান, চায়না, পাকিস্তানি বলে বেশি দাম হাকা হচ্ছে। আবার গাউছিয়া মার্কেটের বেশির ভাগ দোকানেই একদর স্টিকার লাগিয়ে আকাশ ছোঁয়া মুল্য লিখে ঝুলে রাখা হয়েছে রং বেরংয়ের নারী পুরুষের কাপড়। ক্রেতারা ভুল করে যাচাই না করেই তাদের বেঁধে দেয়া মুল্যেই কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে একটু সচেতন ক্রেতারা সেই কাপড় দামদর করেই ক্রয় করছেন। গোয়ালপাড়া এলাকার গৃহবধূ তানজুমা আইজি ইকরা বলেন, গাউছিয়া মার্কেট এলাকার ছোঁয়া ফ্যাশন নামে একটি দোকান থেকে কাপড় কিনতে যাই। সেখানে বিক্রেতারা শিশুদের একসেট কাপড়ের গায়ে ৫ হাজার লিখে রাখে। কিন্তু ওই কাপড় দামদর করে শেষে ২ হাজার টাকায় ক্রয় করি। এভাবে অন্য দোকানেও কাপড় দেখিয়ে ৪গুণ বেশি দাম হাকায় বিক্রেতারা। ফলে ক্রেতারা হতাশ হয়ে অর্ধেক দাম বললেই কাপড় দিয়ে দেয়। তিনি আরো বলেন, এক সময় গুলিস্তানে এমন প্রতারনা হতো। এখন রূপগঞ্জের হাটাবাজারে এসব হয়। বিতরণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। অপর ক্রেতা আধুরিয়া এলাকার বাসিন্দা আমির হোসাইন বলেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে কখন পুরো মার্কেট বন্ধ হয়ে যায়, তা বলা যায় না। তাই সবাইকে নিয়ে মার্কেট করতে এসেছি। কিন্তু কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানার চিত্র দেখলাম না। ব্যবসায়ীরাও কোন ব্যবস্থা রাখে নি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।