নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, পুরো আলেম সমাজ অপরাধের সাথে যুক্ত নয়। আমরা যেন ঢালাওভাবে গোটা আলেম সমাজকে অপরাধী না করি। তবে একজন আলেম হয়ে মামুনুল হক যে অনৈতিক কাজটি করেছেন তার জন্য আমরা কষ্ট পেয়েছি।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর মাসদাইরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।ঈদের পর কিছু মানুষের মুখোশ উন্মোচন করবেন বলে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এখন রমজান মাস। আমাকে যদি আল্লাহ হায়াৎ দেয় তাহলে ঈদের পরে কিছু সত্য কথা বলবো। এবং কিছু মানুষের মুখোশ খুলবো। রাজনীতিতে এসেছি সরবে এবং চলে যাবো নীরবে। কিন্তু যাওয়ার আগে অনেকের মুখোশ উন্মোচন করে যাবো।’ এর আগে তাঁর বড় ভাই প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের কবর জিয়ারত করেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, ‘হেফাজত ইসলাম সম্পর্কে আমি বলবো, ঢালাওভাবে যেন আলেম সমাজকে অপরাধী না করি। কোনো ব্যক্তি অপরাধ করতে পারে তার জন্য কিন্তু পুরো আলেম সমাজ অপরাধ করতে পারে না। মামুনুল হক সাহেবের কী হয়েছে সেটি বিষয় না, আমার কাছে একটা প্রশ্ন, আমাদের যাদের অক্ষরজ্ঞান আছে, কোরআনটা পড়তে পারি, কোনটা সহীহ কোনটা অসহীহ সেটা জানতে পারি। কিন্তু এদেশের শতকরা ৮০ ভাগ লোকের কিন্তু সে অক্ষরজ্ঞান নাই। আমরা দেখি গ্রামে-গঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় মানুষ টাকা দিয়ে ওয়াজ করায়। এই আলেম সমাজকে সম্মানের সাথে নেয় ও দাওয়াত দেয় এবং তারা এখানে বক্তব্য দেন। আমি নিজে বহু ওয়াজে গিয়েছি এবং দেখেছি যখন তারা কথা বলে তখন মানুষের চোখ দিয়ে গড়গড় করে পানি পড়ে এবং সেগুলো গ্রহণ করে। যখন সেই মানুষগুলো এইসব ঘটনা দেখে তখন সেটি সব ধর্মের জন্যই খারাপ। আর মৌলবাদ কিন্তু সব ধর্মেই আছে।’ মামুনুল হক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যাপারটা বিচারাধীন আছে। আমি তো আগেই বলছি এটা তো নতুন ঘটনা না। একজন আলেম হয়ে তিনি যে কাজ করেছন তাতে আপনি ও আমরা যে কষ্ট পেয়েছি। যিনি নিজেকে আলেম দাবি করেন তিনি এ কাজটা করেন কীভাবে!
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।