সোনারগাঁসংবাদদাতা:
মণ প্রতি বোরো ধানের দাম ১৫শ’ টাকা নির্ধারণ, ক্ষেতমজুরদের জন্য গ্রামীণ রেশনিং চালু জাতীয় বাজেটের উন্নয়ন বরাদ্দের ৪০ শতাংশ কৃষি খাতে বরাদ্দ করার দাবিতে সোনারগাঁ সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩ মে) সকাল ১১টায় সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রতি ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র খুলে খোদ কৃষকের কাছ থেকে কমপক্ষে ৫০ লাখ টন ধান ক্রয় করার দাবি জানানো হয়। সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সোনারগাঁ উপজেলার আহবায়ক বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও জেলা বাসদের সমন্বয়কারী নিখিল দাস, সোনারগাঁ সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ইসহাক মিয়া, সংগঠক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ এবং এ দেশের মোট শ্রম শক্তির ৬০ ভাগ কৃষিতে নিয়োজিত। জিডিপির প্রায় ১৪.৭৯ শতাংশ প্রত্যক্ষভাবে আসে কৃষি থেকে। একক খাত হিসাবে জিডিপিতে কৃষির অবদান বেশি হলেও বাজেটে বরাদ্দ কম। আমরা জাতীয় বাজেটের উন্নয়ন বরাদ্দের ৪০ শতাংশ কৃষিতে বরাদ্দের দাবি জানাই। বক্তারা আরও বলেন, এ সময় বোরো ধানের মৌসুম চলছে। কৃষকরা বিভিন্ন এনজিও ও কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ফসল ফলিয়েছে। ফলে তারা ধান বিক্রি করে ঋণের টাকা পরিশোধ করে। কিন্তু তাদের উৎপাদন খরচের কম দামে বাজারে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে মণ প্রতি ধানের দাম ১৫০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানাই। এবার সরকার সাড়ে ১১ লাখ টন চাল ও সাড়ে ৬ লাখ টন ধান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত করে। প্রথমত এটি একেবারে অপ্রতুল। কমপক্ষে ৫০ লাখ টন ধান ক্রয় করা দরকার। মিল মালিকদের স্বার্থে ধানের থেকে বেশী চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতি ইউনিয়নে ক্রয়কেন্দ্র না থাকায় খোদ কৃষকরা গুদামে ধান বিক্রি করতে পারছে না। কৃষকদের থেকে কম দামে ধান কিনে সরকার নির্ধারিত দামে গুদামে ধান দিচ্ছে সরকারি দলের লোকেরা। শুধু তাই নয়, গ্রামীণ ক্ষেতমজুরদের সারা বছর কাজ নেই। ফলে প্রায় ৭ মাস তাদের খুবই কষ্টে চলতে হয়। আর্মি, পুলিশ রেশন পায় অথচ গ্রামীণ ক্ষেতমজুররা রেশন পায় না। এ সময় বীজসহ কৃষি উপকরণের দাম কমানোসহ কৃষি-কৃষক ও দেশ বাঁচানোর জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।