Logo
HEL [tta_listen_btn]

খালু যখন খুনি

খালু যখন খুনি

সিদ্ধিরগঞ্জ সংবাদদাতা:
পাষন্ডচাচাতো খালু শিশু হৃদয়কে খুন করে পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ লুকিয়ে রেখে শিশুর বাবা মা’য়ের সাথে শিশুটির তল্লাশে অংশ নেন। এবং এক পর্যায়ে খুনি নিজেই নিখোঁজ শিশুর সন্ধান পেতে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করেছেন । প্রযুক্তির মাধ্যমে পাওয়া তথ্যে সেই খালুর দিকেই সন্দেহের তীর ছিল পুলিশের। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে সেই খালুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ‘নিখোঁজ শিশুর লাশ পরিত্যক্ত ডোবার ঘাসের নিচ থেকে উদ্ধার হয়েছে।ওই ব্যক্তির নাম সুজন (২৭)। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জের রেললাইনের পূর্ব পাশের এ/পি পূর্ব মুনলাইট এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হন ৭ বছরের শিশু রিয়াদ। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে ২৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করে তার বাবা। এ জিডির প্রেক্ষিতে পুলিশ শিশুটির পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের মুঠোফোরের কললিস্টের সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। একটি নাম্বার থেকে মুক্তিপণ দাবি করে শিশুটির পরিবারের কাছে ফোন করলে সে নাম্বারের সূত্র ধরে নিহত রিয়াদের চাচাতো খালু সুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে সুজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি মাতবর বাজার এলাকায় নির্মাণাধীন ড্রেনের পাশে একটি পরিত্যক্ত ডোবার মধ্যে লম্বা ঘাসের নীচ থেকে শিশুটির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির বাবা রাজন মিয়া জানান, ‘রিয়াদনিখোঁজের পর থেকে সুজন তাদের সাথে খোঁজাখুজি করছিলেন। সন্ধ্যান পেতে বিভিন্ন স্থানে মাইকিংও করেছে। তবে, রাজন মিয়ার পরিবারের সাথে সুজনের তেমন কোন বিরোধ ছিল না।’ এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শওকত জামিল পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, ২৪ এপ্রিল বাড়ির সামনে থেকে সুজন শিশু রিয়াদকে অপহরণ করে রাতেই হত্যা করে জালকুড়িতে ড্রেনের পাশে ঘাসের নিচে লুকিয়ে রাখে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ বিষয় স্বীকার করেছে আটক সুজন। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জড়িত অন্যান্যদেরকে আইনের আওতায় আনা সহ মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। এদিকে, লাশের গায়ে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com