সোনারগাঁ সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা বলেছেন, সোনারগাঁয়ের মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্টেডিয়াম চেয়েছিলাম। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সোনারগাঁবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়ায় বুধবার (৫ মে) বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় এমপি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এই কৃতজ্ঞতা ও দোয়ার আয়োজনের কথা জানান। প্রসঙ্গত, নির্মাণসামগ্রী আর উঁচু নিচু মাটির স্তূপে খেলার অনুপযোগী ছিল মাঠ। তার উপর মাঠের ৫.৮৯ একরের মধ্যে ৩.৫৯ একর জমিই ছিল শিল্প প্রতিষ্ঠানের দখলে। ফলে মাঠের পরিধি সংকুচিত হয়ে পড়ে ছিল। সংকুচিত হয়েছিল সোনারগাঁয়ের শিশু-কিশোর ও তরুণদের খেলাধুলার সুযোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ আর নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার প্রচেষ্টায় সেই মাঠ এখন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। হচ্ছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সোনারগাঁয়ের মসজিদে মসজিদে তাঁর জন্য বিশেষভাবে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। গত ৪ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তাবিত সোনারগাঁয়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্পে ১২ কোটি টাকা ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে সিদ্ধিরগঞ্জে ১২০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভাষনে সোনারগাঁ উপজেলায় স্টেডিয়ামের জন্য নির্ধারিত জায়গায় খেলাধুলার জন্য উপযুক্ত করে খেলাধুলা শুরু করার কথা বলেন। সেই সময়ই সোনারগাঁয়ে একটি স্টেডিয়াম নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ঘোষনার আলোকে স্টেডিয়াম নির্মান সমাপ্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহনের অনুরোধ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বরাবর উপানুষ্ঠানিক পত্র দিয়েছিলেন এমপি খোকা। জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে জাতীয় সংসদে সোনারগাঁয়ে একটি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের দাবিও করেন। ২০১৫ সালের ১২ জুন প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভা হয়। সেই সভার সিদ্ধান্তের আলোকে ৫.৮৯ একর জমিতে প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু মাঠের সেই জমির মধ্যে থেকে ৩.৫৯ একর জমিই ছিল একটি শিল্প কারখানার দখলে। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু নাসের ভূঞার প্রশাসনিক সহযোগিতায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। দখল মুক্ত করি ঘরে ফিরে ছিলেন এমপি। পরবর্তীতে সেই মাঠেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ক্রিকেট মাসব্যাপী টুর্নামেন্টের একটি বিশেষ খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, সোনারগাঁয়ের মানুষের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্টেডিয়াম চেয়ে ছিলাম। তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম হচ্ছে সোনারগাঁয়ে। এরই মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন এই স্টেডিয়াম দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাশাপাশি শুক্রবার মসজিমে মসজিদে তার জন্য দোয়ার আয়োজন করেছি। এদিকে, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকল্পটির প্রতি বিশেষ অবদান রাখায় সোনারগাঁয়ের সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বর্তমান মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, বর্তমান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পিএস আবু নাসের ভূঞা, সোনারগাঁ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম ইকবাসহ ক্রীড়া সংস্থার সকলকে, স্থানীয় প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধ, রাজনীতিবীদ, সমাজকর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।