সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
অপরাধী গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনা এলিট ফোর্স র্যাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এবং এটি র্যাবের চলমান আভিযানিক কর্মকান্ডেরই একটি অংশ। দেশের সন্ত্রাসকবলিত এলাকা সমূহে র্যাব এর অভিযানের ফলে জনগণ শান্তিতে জীবনযাপন করছে এবং আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ফিরে এসেছে। সম্প্রতি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কিশোরদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। র্যাব-২ তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় কিশোর অপরাধের সাথে জড়িতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংশোধনের নিমিত্তে কার্যক্রম চলমান রেখেছে। র্যাব-২ এর আভিযানিক দল (২২ মে)৫টা ৫০ মিনিটে হতে ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বেড়িবাঁধ রোডস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থান ২নং গেটের সামনে এবং বেড়িবাঁধ রোডস্থ আজিজ খান রোডের এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে কিশোর গ্যাং এর“পাটালী” গ্রুপের ৩ জনসদস্য মোঃশরিফুলইসলামপিয়াল(২২), পিতা-মোঃবাচ্চুমিয়া, জেলা-বরিশাল, মোঃআলী হোসেন(১৯), পিতা-মোঃআলম, ডিএমপি, ঢাকা, মোঃচাঁনমিয়া(১৯), পিতা-মোঃজালাল শেখ, জেলা-মুন্সিগ’ঞ্জের ১টি লম্বা ছুরি, ২ টিচাকুএবং“অ্যালেক্স ইমন”গ্রুপের ৮ জন সদস্যমোঃরাব্বিইসলামআকাশ(১৬), পিতা-মোঃহাসানতালুকদার, জেলা- নেত্রকোণা, মোঃরনিখান(১৪), পিতা-মোঃআজিজুলখান, ডিএমপি, ঢাকা, মোঃআরিফ হোসেনরিফাত(১৪), পিতা-মোঃরিপন, ডিএমপি, ঢাকা, মোঃআবির(১৩), পিতা-মোঃজহিরখান, জেলা-বরিশাল, মোঃরনি(১৬), পিতা-মোঃআইনউদ্দিন, জেলা-কিশোরগঞ্জ, ডিএমপি, ঢাকা, মোঃসাগর(১৫), পিতা-মোঃমিষ্টুমিয়া, জেলা-কিশোরগঞ্জ, মোঃরায়হান(১৬), পিতা-মোঃসাহেদ মিয়া, জেলা-হবিগঞ্জ, মোঃরবিউলইসলাম(১৫), পিতা-মোঃআনিছহাওলাদার, জেলা-বরিশাল’দেরকে ২ টি লম্বা ছুরি, ২ টি লোহার তৈরি ছুরি, ০৪ টি ফোল্ডিংচাকুসহগ্রেফতারকরে। প্রাথমিকঅনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় যে, গ্রেফতারকৃত এই কিশোর অপরাধীরাবিভিন্ন জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানেও তারা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল হ্যান্ডসেট, ল্যাপটপ, সাথে বহন করা দ্রব্যসামগ্রীর ব্যাগ প্রভৃতি ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেত। গ্রেফতারকৃত কিশোর অপরাধীরা স্বীকার করে যে, ছিনতাই ছাড়াও মাদক সেবন, খুচরা মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়ায়-মহল্লায় মারামারি এবং স্থানীয় ভূমিদস্যুদের পক্ষে অপদখলীয় জমিতে গিয়ে পেশীশক্তির মহড়া প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে। প্রায়শঃই তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকল্পে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসেরপরিবেশ সৃষ্টি করে। এছাড়া নিজেদের গ্রæপের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য অন্যান্য কিশোর গ্যাং এর সাথে মারামারিসহ নানা সশস্ত্র সংঘর্ষেও তারাপ্রায়শই জড়িয়ে পড়ে।আসামীদেরনিকট থেকেপ্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাব-২ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।