নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জে ফুসফুসের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সায়েন্টেফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘লাং হেলথ: স্ট্রিমলাইনিং দ্য কারেন্ট নলেজ’ শিরোনামে এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। শনিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে আটটায় স্বাস্থ্যবিধির প্রতি বিশেষ নজর দিয়ে শহরের চাষাঢ়ায় প্যারাডাইজ ক্যাসেলের বøæ পিয়ার রেস্তোরাঁয় এই সেমিনার শুরু হয়। সেমিনারে বিশেষজ্ঞ তিন চিকিৎসক আলোচনা করেন। এতে অংশ নেন জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দ। শুরুতে আলোচনার করেন ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগ এবং কোভিড-১৯ প্রসঙ্গে আলোচনা করেন জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান। আন্তঃস্থায়ী ফুসফুসের রোগ সম্পর্কে আলোচনা করেন বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. আসিফ মুজতবা মাহমুদ। সমসাময়ীক মহামারী কোভিড-১৯ পরবর্তী জটিলতা সম্পর্কে আলোচনা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেসপিরেটরী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। বর্তমান পরিস্থিতিতে ফুসফুসের নানাবিধ রোগের ক্ষেত্রে কী ধরনের চিকিৎসা দিতে হবে এবং অ্যান্টিবায়োটিক, অক্সিজেন প্রয়োগের ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করেন আলোচকরা। সেমিনারে অংশ নেওয়া চিকিৎসকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন আলোচকরা। বিএমএ’র জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক ডা. সামসুদ্দোহা সঞ্চয়ের সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (আইসিএমএইচ) যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক অনুপ কুমার সাহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমএ জেলা শাখার সহসভাপতি ডা. বিধান চন্দ্র পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক ডা. দেবাশীষ সাহা ও ওষুধ কোম্পানি অ্যারিস্টোফার্মা লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ কুমার সোম। বক্তারা বলেন, ‘ফুসফুসের রোগের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোভিড পরিস্থিতি নতুন করে আমাদের শেখাচ্ছে। এক সময় নারায়ণগঞ্জ কোভিডের হটস্পটে পরিণত হয়েছিল। তা মোকাবেলা করা গেছে। আগামীতেও আমরা সার্ভাইভ করতে পারবো বলে আশা করি। সকলেই নিজেদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কাজ করবেন। রোগীদের কাছাকাছি যেহেতু থাকতে হয় তাই কড়াকড়িভাবো স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। মাস্কই সত্যিকারের ভ্যাকসিন। মাস্ক পরার পর থেকে ডিস্পোজ করা পর্যন্ত সচেতন থাকতে হবে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।