রূপগঞ্জ সংবাদদাতা:
রূপগঞ্জে প্রভাব বিস্তার ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাতভর তান্ডব চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় তারা বাজারের দোকানপাট সহ ২৫টি বাড়িতে হামলা করেপ্রায় ৫০ লাখটাকার ক্ষয়ক্ষতি ও লুটপাটকরেছে। হামলাকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করে এলাকায় আতংক তৈরী করে। এসময় নারীশিশু সহ ১৪ জনকেকুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে তারা। গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই)রাতে সা¤প্রতিক এক হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরাবএলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা হযরতআলী জানান, তার ছেলে মিজান স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। যুবলীগের নেতৃত্ব নিতে সম্প্রতি তারাবো পৌরসভার গন্ধর্বপুর এলাকায় খুনহওয়া সোলাইমান হত্যা মামলার অন্যতম আসামী বরাবএলাকার ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে শুভ তার সাথে শত্রুতা করে আসছিল। উক্ত শত্রুতার জের ধরেবৃহস্পতিবার রাতে সন্ত্রাসীশুভ ও কাইল্যামজিবরের নেতৃত্বে ৫০/৬০জনের একটি দল বরাবএলাকায়ঢুকেপ্রথমে তাদেরবাড়িতেহামলাচালায়। এসময়তাদের ৪ তলা বাড়ির প্রতিটি কক্ষ ভাংচুরলুটপাটসহবাড়িতে থাকাকয়েকজনকেপিটিয়েজখমকরে। সন্ত্রাসীরাবাইর থেকে তার বাড়ি লক্ষ্য করে ৩ রাউন্ড গুলিওছুড়ে। তবে এতে কেউ হতাহতহয়নি। পরেতারাবরাবছাপড়ামসজিদ এলাকায় তার মেয়েরজামাইজামদানীশাড়িকারখানারমহাজনহারিজমিয়ারবাড়িতেঢুকেভাংচুরসহ ৮৭টি জামদানীশাড়িএবংশ্রমিকদের বেতন দেয়ার ৮ লাখটাকালুটে নেয়। এসময়কয়েকজনকেকুপিয়েজখমকরে। পরেতারাহারিজেরজামদানীকারখানা ‘হাসিবতাতজামদানী’ কারখানায়প্রবেশকরে ৫টি দামীশাড়িরতাত কেটে ফেলে। হামলাকারীরাবরাব মেমোরি টেক্সাটাইল গলিতে ঢুকে ,শহিদুল্লার বাড়িতে ভাংচুরলুটপাট চালায়। পরেতারাবরাব কবরস্থান রোডেআবুবক্করের বাড়িতেহামলাকরেব্যাপকলুটতরাজ ও ভাংচুরকরে। এছাড়াও সে এলাকারজীবন, শাকিল, পারভেজ, সুমন, আনিছ, চঞ্চল, সিহাব, আরিফ, খায়ের, মনির, রশিদ, আদিল, নোয়াব, ফারুক, বাজিবরসহআরো ২১ জনেরবাড়ী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেভাংচুর ও লুটপাটকরেছে। তারানগদ টাকা, জামদানীশাড়ি, স্বর্ণলংকারসহঅন্তত ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা দাবিকরেন। হামলাকালেতারাবাজারের ১৯টি সিসিক্যামেরা ও ৪টি অটোরিক্সা ভেঙ্গে ফেলে। হামলায়আবুবক্কর, বাজিবর, শামীমা, ৬ মাসেরশিশুআফরীন, আবির, শারমীন আক্তার রীমা, মনির হোসেন, নুরআলম, কামরুজ্জামান, হযরতআলীসহঅন্তত ১৪ জন জখম হয়েছে।হযরতআলী অভিযোগ করেন, তারাবো পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডেরকাউন্সিলরআনোয়ার হোসেন এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে। শুভ ও মজিবরআনোয়ারবাহিনীরসদস্য, এছাড়া ডেমরাএলাকারছাত্রলীগ নেতা ও আনোয়ারেরশ্যালকও এই হামলায় অংশ নেয়। চনপাড়াবস্তি থেকেও ভাড়াটে লোকআনাহয়েছে। যাসিসিক্যামেরায় স্পষ্টপ্রমাণরয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আনোয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলেতিনি তার বিরুদ্ধে আনীতঅভিযোগ অস্বীকারকরেবলেন, ঘটনা ৯ নাম্বার ওয়ার্ডে আরআমি ৭নং ওয়ার্ডেরকাউন্সিলর। আমিযদি কোনভাবে এই ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকিতাহলেপ্রমাণকরুক। তাছাড়া এ সময়আমিএলাকায়ছিলামনা। এ ঘটনায় হযরতআলী বাদীহয়ে রূপগঞ্জ থানায়একটিঅভিযোগ দায়েরকরেন। এছাড়াআরোকয়েকটিঅভিযোগ দায়েরপ্রক্রিয়াধীনরয়েছে। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএমসায়েদ বলেন, এ ধরনের হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কার জনক। শুভএমনিতেই হত্যামামলার পলাতকআসামী। তাকেপুলিশখুঁজছে। এভাবে হঠাৎ এলাকায় এসেত্রাসকরবেএটাআমরাভাবতেপারিনি। আমরাসর্বোচ্চআইনী পদক্ষেপ নিবো। একটিঅভিযোগ পেয়েছি। সেটানিয়মিতমামলাহিসেবেরুজুহবে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।