নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী আক্ষেপ করে বলেছেন, চিকিৎসার জন্য মাকে বিদেশে নেয়ার চিন্তা করেছিলাম কিন্তু করোনার কারণে এয়ারপোর্ট বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয় নি। আমাকে সারাজীবন এ দুঃখ বয়ে বেড়াতে হবে।শনিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সাবেক এসপি হারুন আর রশিদ (বর্তমানে অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক)মায়ের মৃত্যুতে সমাবেদনা জানাতে পশ্চিম দেওভোগ এ অবস্থিত মেয়র আইভীর বাসা চুনকা কুটিরে গেলে তার সাথে আলাপকালে তিনি আক্ষেপের সুরে এ কথা বলেন। সেখানে প্রায় আধঘন্টা মেয়র আইভীর সাথে সাবেক এসপি হারুন কথা বলেন ও শোক প্রকাশ করেন। চুনকা কুটির এ প্রবেশ করতেই মেয়র আইভী ভারাক্রান্ত মন নিয়ে সাবেক এসপি হারুনকে বলেন, আপনি এমন সময় আসলেন যখন আমার মা আর নেই। এ সময় সাবেক এসপি হারুন তার মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, আমি ১৫ দিনের জন্য গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম, তাই আপনার মায়ের মৃত্যুর খবর আমি প্রথমে জানতে পারিনি। মেয়র আইভী বলেন, আমার মার মাত্র ৭৩ বছর বয়স হয়েছিলো। আমরা ভাবতেও পারিনি যে উনি আমাদের ছেড়ে এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবেন। এমনকি ডাক্তারের কাছে নেয়ার সুযোগটাও মা আমাদের দেননি। আমার মা এর মৃত্যুর ১০ মিনিট আগে আমি ওনাকে জিজ্ঞেস করি ‘তোমার কি শ্বাস কষ্ট হইতাছে মা’। মা বললেন, না আমার শ্বাস কষ্ট হচ্ছে না কিন্তু আমার ভালো লাগতাছে না। এ কথা বলে বাসার এ পাশ থেকে ও পাশ, ও পাশ থেকে এ পাশ করেন । নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, নারায়ণগঞ্জে এমন কোন আওয়ামী লীগ নেতা নেই যে কিনা ওনার (মেয়র আইভী) মায়ের হাতের খাবার না খেয়েছেন। ৩০-৪০ জন মানুষের খাবার একসাথে রান্না করতেন। চিকিৎসার জন্য মেয়রের মা’কে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে সাবেক এসপি হারুন জিজ্ঞেস করায় মেয়র আইভী বলেন, আমি মা’কে বিদেশে নেয়ার কথা চিন্তা করেছিলাম, কিন্তু করোনার কারণে এয়ারপোর্ট গুলোও বন্ধ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।