ফতুল্লা সংবাদদাতা:
ফতুল্লায় রহিমা বেগম(৭৮) নামক এক বৃদ্ধার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহরের জেনারেল(ভিক্টোরিয়া)হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সোমবার (২ আগস্ট) সদর উপজেলার ফতুল্লা কাশিপুর হাটখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রহিমা বেগম ফতুল্লার কাশিপুর হাটখোলা সিকদার বাড়ীর মৃত আজগর আলীর স্ত্রী। নিহতের বড় ছেলে মোস্তফা জানান, তারা তিন ভাই এবং তিন বোন। বাড়ীটিতে তিন বোন ও এক ভাই বসবাস করেন। ভাই বোনদের মধ্যে ছোট ভাই মহসিন ছাড়া সকলেই বিবাহিত। তার মা রহিমা বেগম একই বাড়ীতে ছোট ভাই মহসিনের সাথে একই রুমে থাকতো। তার ছোট ভাই মহসিন বেশ কয়েক বছর যাবৎ অসুস্থ। তবে গত কয়েকদিন ধরে মহসিন কাজের জন্য বাইরে রয়েছে। ফলে ঘরটিতে মা একাই থাকতো। সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ফুফাতো বোন হামিদা তার মাকে ডাকতে গিয়ে দেখতে পায় যে ঘরের দরজা খোলা এবং তার মার দেহ খাটের উপরে পরে রয়েছে। তিনি আরও জানান, ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে পরিবারের অপর সদস্যদেরা সংবাদ পেয়ে ছুটে আসে, এসে দেখতে পায় তার মায়ের মৃত দেহ খাটের উপর পরে রয়েছে এবং পা মাটিতে ঝুলছে। গলায় ওড়না পেচাঁনো এবং মুখ মন্ডল বালিশ এবং কাথাঁ দিয়ে ঢাকা রয়েছে। নিহতের ভাতিজি হামিদা জানায়, সকাল সাড়ে আটটার দিকে সে তার ফুফুর সাথে দেখা করতে গেলে তাকে ঘরের বাইরে থেকে একাধিকবার ডাকাডাকি করে। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে এগিয়ে গিয়ে দেখতে পান দরজা খোলা এবং তার ফুফুর দেহ খাটে এবং পা মাটিতে ঝুলে রয়েছে।তিনি তা দেখতে পেয়ে বাড়ীর সকলকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে আসেন। ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রহিমা বেগমের মৃত দেহ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে হত্যা না কি স্বাভাবিক মৃত্যু সে সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নিহতের ছেলে মেয়েদের থানায় ডেকে এনে পৃথক পৃথক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তবে কাউকে আপাতত আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।