নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ করোনা হাসপাতালে কোন সিট খালি নেই বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপার (তত্ত¡াবধায়ক) ডা. আবুল বাশার। নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ১৬ মাসে ৫৬৪ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে কেবল এই জুলাই মাসেই মৃত্যু হয়েছে ১০৫ জনের। এক মাসে এত মৃত্যু এর আগে কখনো দেখা যায়নি। হেল্থ ইমারজেন্সি এন্ড অপারেশন সেন্টার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে দেওয়া গত জুলাই মাসের তথ্যে কোভিড-১৯ এর এমন ভয়ানক তথ্য ফুটে উঠেছে। সবচেয়ে ছোট আয়তনের জেলার দিক দিয়ে নারায়ণগঞ্জের অবস্থান ৩ নম্বরে থাকলেও করোনায় মৃত্যুর তালিকায় এই জেলার অবস্থান ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও কুষ্টিয়ার পরেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে জুলাই মাসের ১ তারিখে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৮৪ জনে। ভাইরাস টিতে এদের মধ্যে থেকে মৃত্যু হয়ে ছিল ৪৫৯ জনের। ৩১ জুলাই আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫৮৫ জনে আর মৃত্যু হয়েছে ৫৬৪ জনের। অর্থাৎ, পুরো জুলাই মাসে নারায়ণগঞ্জে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৫০১ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয় ১০৫ জন। গত জুলাই মাস জুড়ে কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যেও নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বদলে বরং প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। ঈদের পর থেকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই ২শ’ ঘরেই থাকছে। সর্বশেষ আগস্ট মাসে ১ থেকে ৪ তারিখ পর্যন্তও নারায়ণগঞ্জের ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসের কারণে।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ কোভিড হাসপাতালের সুপার (তত্ত¡াবধায়ক) ডা. আবুল বাশার স¤প্রতি জানান, আমাদের হাসপাতালে ১০টি আইসিইউসহ ১২০ শয্যার কোনটিই খালি নেই। সকল শয্যাতেই রোগী ভর্তি রয়েছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।